Pal Pal Dil Ke Paas review: বাবা সানি দেওল হলে ছেলের 'হিরো' হতে বাধা কোথায়?

ঠাকুরদা ধরম এখনও 'গরম', এবং বাবা সানি দেওল এখনও বুক কাঁপানো হুঙ্কার ছাড়তে ওস্তাদ। সেখানে কনিষ্ঠতম দেওল করণের প্রভাব কতটা?

ঠাকুরদা ধরম এখনও 'গরম', এবং বাবা সানি দেওল এখনও বুক কাঁপানো হুঙ্কার ছাড়তে ওস্তাদ। সেখানে কনিষ্ঠতম দেওল করণের প্রভাব কতটা?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pal pal dil ke paas movie review

Pal Pal Dil Ke Paas movie cast: করণ দেওল, সেহর বাম্বা, আকাশ আহুজা, শচিন খেড়েকর, সিমোন সিং, কামিনী খান্না
Pal Pal Dil Ke Paas movie director: সানি দেওল
Pal Pal Dil Ke Paas movie rating: ০.৫/৫

Advertisment

প্রশ্ন: একজন স্নেহময় পিতা ছাড়া আর কেউ কি করণ দেওলকে ছবিতে নামাতেন?

সংক্ষিপ্ত উত্তর: না

তা যাই হোক, 'পল পল দিল কে পাস' নামক এই ছবিতে প্রথা মেনে 'হিরো' আঙ্গিকেই অভিষেক হলো সানি দেওলের হাসিখুশি, সম্পূর্ণভাবে বিশেষত্ত্বহীন পুত্র করণের। সঙ্গে থাকলেন সুন্দরী, অল্পবয়সী নায়িকা, নাচাগানা, বিস্তর ঢিসুম-ঢিসুম, ঠিক তাঁদের যুগে নিজেদের অসংখ্য প্রেম কাহিনীতে করণের বাপ-পিতামহের যা যা থাকত। মুশকিলটা হলো, ঠাকুরদা ধরম এখনও 'গরম', এবং বাবা সানি এখনও বুক কাঁপানো হুঙ্কার ছাড়তে ওস্তাদ। সেখানে কনিষ্ঠতম দেওলের প্রভাব কতটা? এক কথায়, শূন্য।

Advertisment

করণ সেহগল (চরিত্রের নাম) পাহাড়ে একটি রিসোর্ট চালান, এবং তাঁর এই রিসোর্টের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ, সুউচ্চ পাহাড়ের ওপরে ট্রেকিং। এখন এই ট্রেকের বিরুদ্ধে চোখাচোখা বাক্যবাণ নিক্ষেপ করতে শুরু করেন সুন্দরী ভিডিও ব্লগার সেহর শেঠি। দুই তরুণ-তরুণী একে অপরকে মিস শেঠি এবং মিঃ সেহগল বলে সম্বোধন করেন, তারপর দেখি হেলিকপ্টারে করে চলেছেন দুর্গম গিরি এবং অশান্ত নদীর পানে। এরপর তাঁরা খাড়াই পাহাড়ের গা বেয়ে তরতর করে নামেন, মাছ ধরেন, ক্যাম্প ফায়ারে রাঁধেন সেই মাছ, ইত্যাদি প্রভৃতি।

আরও পড়ুন, সকালে মা দুর্গাকে নুন-লেবুর জল! অভিনেত্রী ঈশিতা শোনালেন চারুভবনের পুজোর গল্প

আরও পড়ুন, ভাল দেখতে হিরো-হিরোইন, আবার কী চাই?

দুর্দান্ত প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝখানে এই দুটি বিরক্তিকর প্রাণীকে সহ্য করতে হয়। আপনারাই বলুন, কোনও অভিজ্ঞ ট্রেকার আছেন যিনি এমন এক ঘ্যানঘ্যানে মহিলাকে ট্রেক-সঙ্গী করবেন, যিনি ব্যাকপ্যাকে করে তাঁর সাধের সফট টয় নিয়ে যাওয়ার জেদ ধরে বসে থাকেন? হ্যাঁ, এরকমই ছবিটা। এবং না, ব্যাপারটা 'কিউট' নয় আদৌ।

প্রথমার্ধে কোনোক্রমে সময় কেটে যায় চোখ-ধাঁধানো নিসর্গের দৌলতে। দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভাব ঘটে কিছু বাজে বকা পরিবারের সদস্যের, ঈর্ষাকাতর বয়ফ্রেন্ডের, এবং আরও খুচরো চরিত্রের। মিষ্টি প্রেমের জায়গা নেয় অতিনাটক, যা নিতান্তই বাসী এবং অসহ্য। হিরোইন হিরোর চেয়ে হয়তো সামান্য ভালো, কিন্তু সামান্যই। শেষমেশ রয়ে যায় স্রেফ হতাশা: সত্যিই কি ২০১৯-এ রয়েছি আমরা? সত্যিই কি এটি একটি আধুনিক প্রেম কাহিনী?

ছবির একদম শুরুর দিকে এক চরিত্রকে বলতে শোনা যায়, "স্টপ, প্লিজ স্টপ"। উফফ, কেউ যদি শুনত।