অভিনেত্রী পল্লবী দে'র রহসমৃত্যু (Pallavi Dey Death Mystery) নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিকের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-মারপিট লেগে থাকত পল্লবীর, অভিনেত্রীর মাসি-ই সেখবর পরিচারিকার কাছ থেকে পেয়ে জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। তবে গড়ফার যে ফ্ল্যাটে পল্লবী-সাগ্নিক লিভ-ইন করতেন, সেই বাড়ির পরতে পরতে রহস্য।
অভিনেত্রীর পিসি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, সাগ্নিকের একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই বিষয়টিই নাকি জানতে পেরেছিলেন পল্লবী। যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। শুধু তাই নয়, পল্লবী বাড়ি থেকে বেরলেই ফাঁকা ফ্ল্যাটে অন্য মেয়েদের নিয়ে আসত বলেও অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রীর পিসি।
পাশাপাশি সোমবার পল্লবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বেলা গড়াতেই গড়ফা থানায় FIR দায়ের করে অভিনেত্রীর পরিবার। অভিযোগনামায় সরাসরি ‘খুনের’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পল্লবীর বাবা-মায়ের দাবি, "সাগ্নিক ও মেয়ের বান্ধবী ঐন্দ্রিলা দুজনে মিলেই এই খুন করেছে।" থানায় এদিন নায়িকার পরিবারের আইনজীবী সাফ জানান, "যে উচ্চতায় উঠে গলায় ফাঁস লাগাতে হত, সেই উচ্চতায় ওঠা পল্লবীর একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এর নেপথ্যে অন্য কেউ রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। তাই সাগ্নিক ও তাঁর বান্ধবী-সহ আরও কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।"
<আরও পড়ুন: ‘খুনই করা হয়েছে পল্লবীকে’, দাবি তুলে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে FIR অভিনেত্রীর পরিবারের>
FIR-এ পল্লবীর বাবা নীলু দে এও জানান যে, পল্লবীর থেকে টাকা আত্মসাৎ করে দিব্যি অন্য সম্পর্ক চালাচ্ছিলেন সাগ্নিক। প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপান করতেন। এবং মত্ত অবস্থায় একাধিকবার শারীরিক নিগ্রহ করেছেন পল্লবীকে। নায়িকার শরীরের যে চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরাও।
পাশাপাশি অভিযুক্ত সাগ্নিক চক্রবর্তীর পেশা নিয়েও বেজায় ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি আদতেও কী করতেন? তা কোনওদিনই জানতে পারেননি পল্লবীর বন্ধুরা। এমনকী সহকর্মী-অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীও জানিয়েছেন যে, "জন্মদিনে একেকবার পল্লবীকে হিরের আংটি, আইফোন উপহার দিয়েছিল সাগ্নিক। মাঝেমধ্যেই কলকাতার নামী-দামি হোটেলে থাকত দুজনে। কোথা থেকে এত টাকা আসত সাগ্নিকের কাছে নাকি সেগুলো সবই পল্লবীর টাকা?" প্রশ্ন অভিনেতা সায়কের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন