কে বলেছে সিনেমা কিংবা সিরিজ শুধু বিনোদন দিতে পারে। আর কে-ই বা বলেছে যে বিনোদন শুধুই মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে পারে? মোইেট না। ভারতীয় সিনেমার বুকে এবং সিরিজের বুকে এমন কিছু কনটেন্ট আছে যা মানুষকে জীবনের নানা অধ্যায়কে প্রভাবিত করতে পারে। শুধু প্রভাব বললে ভুল হবে, বরং তাঁরা মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। বাংলা ছবির ক্ষেত্রেও সত্যজিৎ রায় থেকে মৃণাল সেন- নানা পরিচালক নানা কিছু শিখিয়েছেন তাঁর ছবির মাধ্যমে।
কিন্তু সদ্য রিলিজ প্রাপ্ত একটা সিরিজ-যা মানুষের মনকে দোলা দিয়েছে, সেটি যে এহেন কিছু শিক্ষণীয় প্রভাব ফেলবে দর্শকদের মিধ্যে কেউ ভাবতেও পেরেছিল? প্রসঙ্গে সকলের প্রিয় পঞ্চায়েত। যার সিজন ৪ আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। কিন্তু এই সিরিজ আদ্যোপান্ত রাজনীতিক হলেও, সামাজিক থেকে আর্থ সামাজিক গঠনের এক দারুণ নিদর্শন এই সিরিজ। সচীব জি কিংবা প্রধানজ্বী, প্রতিটা চরিত্রই যেন খুব সাধারণ কিন্তু, অসাধারণ কিছু বলে গেলেন তাঁরা।
Arijit Singh: কচিকাঁচাদের জন্য বিরাট প্ল্যানিং, অরিজিতের মহানুভবতা এবং যুক্তি শুনলে সমাজ এগিয়ে যেতে বাধ্য..
কী কী শেখাল এই সিরিজঃ
কাউকে সহজে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতাঃ নতুন একটি গ্রামে একজন সচীব জ্বি পা রাখেন। শহরের ছেলেকে আপন করে নিতে কেবল ভালবাসা এবং লাউ-ই কাজ করল। তাঁর সঙ্গে ভীষণ আতিথেয়তা মানসিকভাবে অপ্রস্তুত এক জেদী ছেলেকেও গ্রামে থেকে যেতে বাধ্য করল।
যেকোনও পরিস্থিতিকে হাসিমুখে এক্সপ্লোর করাঃ পরিস্থিতি সবসময় মনমতো হয় না। কিন্তু, সবসময় পরিস্থিতিকে নাক না দেখিয়ে সেটিকে নতুন শুরু হিসেবে দেখাই ভাল। নিজে মানসিকভাবে তৈরি না হলে কোনওকিছুই যেন ভাল লাগে না। তাই, সামনে যা আসে, খোলা মনে সেটিকে গ্রহণ করা দরকার।
একতাই পরম ধর্মঃ গোটা গ্রামের মানুষ যখন একসঙ্গে দাঁড়িয়ে যায়, তখন বিধায়কের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোও কোনও বিষয় না। পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে প্রহ্লাদ চা - সকলেই যেন একসঙ্গে মুশকিল আসান করলেন। এমনকি প্রহ্লাদ চা-এর ছেলের মৃত্যুতেও যেভাবে তাঁরা সামাল দিলেন, দেখার মতো।
ভুয়ো জিনিসে বিশ্বাস নাঃ দুর্গেশ অর্থাৎ বানরাকাস থেকে তাঁর স্ত্রী এবং বিনোদ-মাধব মিলে যে কাণ্ড শুরু করেছিল, তারপরেও প্রধানজ্বির ওপর থেকে কেউ বিশ্বাস টলাতে পারল না। এই সিরিজ বারবার এটাই প্রমাণ করেছে নিজে সৎ পথে থাকলে সবকিছুই সম্ভব।