‘পঞ্চায়েত ২’ রিলিজ করার পর থেকেই যেন উচ্ছাস দর্শকমহলে। দীর্ঘদিনের অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। এবং সিরিজ মুক্তির পর থেকেই লাইমলাইটে দুর্গেশ কুমার ( Durgesh Kumar Aka Bhushan )। তাকে নিয়ে মিমের যেমন ছড়াছড়ি। পর্দার ভূষণ কিংবা বনরাক্ষস এখন সকলের নয়নের মণি। এমনকি কাপল গোলস এর উদাহরণে বনরাক্ষস লাভস হিস ফ্যামিলি – এই তর্জাও কম নয়। কিন্তু দূর্গেশ নিজে কি বলছেন?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর বিশেষ সাক্ষাৎকারে, নিজের কেরিয়ার এবং ‘পঞ্চায়েত-২’ এর সাফল্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। বিগত নয় বছর ধরে একনাগাড়ে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের নাম পাওয়ার জন্য। ওয়েব সিরিজ গুলিতে ছোটখাটো চরিত্র করলেও তার সেইভাবে খ্যাতি নেই। তবে ‘পঞ্চায়েত ২’ একেবারেই তার জীবনে এক আশীর্বাদ। অভিনেতা বললেন, “আমি যথেষ্ট আনন্দিত যে ভূষণ কিংবা বনরাক্ষস -কে এত মানুষ পছন্দ করছেন। যখন কাজ করেছিলাম তখনও বুঝতে পারিনি এমন কিছু হতে চলেছে। মানুষ যে এত ভালবাসা দেবেন, পছন্দ করবেন – এর সম্পূর্ন কৃতিত্ব যায় গল্পের লেখক এবং পরিচালককে। তারা দারুণ ভাবে স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলেছেন”।

মানুষ যে এত পছন্দ করছেন, ভালবাসছেন এই চরিত্রকে, কেন? আপনার কি মনে হয়? ( হেসে ) “প্রতিটা মানুষের মধ্যে একজন ভূষণ লুকিয়ে রয়েছে। মানুষ সেটা সহজে প্রকাশ করে না। আর আমায় দিয়ে সেটা ক্যামেরার সামনে করানো হয়েছে”। অভিনয়ের ইচ্ছে প্রথম থেকেই। তবে পরিবারের চাপে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে বাধ্য হন দূর্গেশ। অভিনেতা বলেন, “আমার বড় ভাইয়ের কথায় থিয়েটার করতে রাজি হই, সেই থেকেই শুরু। তার সঙ্গে হিন্দি ভাষায় গ্র্যাজুয়েশন করি IGNOU থেকে। তারপর, ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে সুযোগ সেখান থেকে ইমতিয়াজ আলির সঙ্গে ‘হাইওয়ে’ সিনেমায় কাজ”।
আরও পড়ুন [ ১ পায়ে হেঁটেই রোজ স্কুল-সফর! পঙ্গু কিশোরীর অস্ত্রোপচারের করাবেন সোনু সুদ ]
সিনে ক্যারিয়ার কেমন ছিল? উত্তরে তিনি সোজা সাপটা জবাবেই বলেন, “আজও আমায় অডিশন দিতে হয়। সরাসরি কোনও রোল অফার করা হয় না। অনেক ওয়েব সিরিজ করেছি, তবে রিজেকশন রয়েছে। অভিনেতাদের জন্য স্ট্রাগল কোনোদিন শেষ হয়না। যখন প্রতিনিয়ত কেউ সিনেমায় সুযোগ পেতে থাকেন তখন এই বড় শহরে বেচেঁ থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে। আর সেটা বন্ধ হয়ে গেলেই মুশকিল। পরিবারের সাহায্য পেয়েছি”। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি অন্যান্য কাজও করে থাকেন বলেই জানালেন পর্দার ভূষণ।