Khakee The Bengal Chapter: আজ রিলিজ করেছে বহু প্রতীক্ষিত 'খাঁকি দ্যা বেঙ্গল চ্যাপ্টার'। আর এই সিরিজ নিয়ে যেন আলোচনা হয়েছে, তেমনই প্রত্যাশা ছিল ভীষণ হাই। কারণ, খাঁকি সিরিজের প্রথম ভাগ অর্থাৎ বিহারকে ঘিরে যেটি বানানো হয়েছিল, সেটি দর্শকমহলে দারুণ জনপ্রিয় হয়। তাই, এই সিরিজ নিয়ে সকলের বেশ আশা রয়েছে।
সিরিজে বাংলার তুখোড় স্টার কাস্ট এর সঙ্গে সঙ্গে দেখা গিয়েছে, বলিউডের অনেককেই। কিন্তু, জিৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে এই সিরিজে - তাই অনেকেই আনন্দে আত্মহারা। কিন্তু আরেকজন মানুষের নাম যাকে নাম ভুললেই নয়, তিনি হলেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ( Parambrata Chatterjee )। এই সিরিজে তাঁকেও দেখা গিয়েছে। অভিনেতার কাছে যখন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে ফোন গেল, তিনি খুব স্বল্প সময়েই তাঁর মতামত জানিয়েছেন। পরমব্রত যিনি বহু চরিত্র করেছেন পুলিশ অফিসারের, এখানেও তাঁকে দেখা গিয়েছে সেই হিসেবেই।
অভিনেতা না হলে পুলিশ হতেন? ছোটবেলায় এমন ইচ্ছে ছিল?
না, একেবারেই না।
আরও এতজন সুপারস্টার রয়েছেন সিরিজে, স্ক্রিন প্রেজেন্স নিয়ে সমস্যা হয়?
আমার গেষ্ট এপিয়ারেন্স এই ছবিতে। তাই খুব একটা ভাবি নি। নীরজ পান্ডের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল। উনি আমায় বলেছিলেন, এটা একটা স্পেশ্যাল কিছু, আমি সেকারণেই আরও রাজি হয়েছিলাম যে গেস্ট হলেই আমি করব। তারপর, আমার নিজের পার্ট টুকু আমি শুনলাম, শুনে মনে হল যে না, এটা সেরকম হওয়ারই যোগ্য। ব্যাস এটুকুই। আমার সঙ্গে বুম্বা দা কিংবা জিৎ এর কোনও সিন নেই।
এমন কোনও পুলিশের চরিত্র আছে সিনেমার পাতায়, যেটা আপনাকে আকর্ষণ করে?
আমি বাই ডিফল্ট অনেকগুলো পুলিশ অফিসারের চরিত্র করে ফেলেছি। পুলিশ কিন্তু আলাদা মানুষ না। তাঁদের দুটো পা দুটো হাত আছে। হ্যাঁ, তাঁরা আইনের এক্সিকিউটিভ। পুলিশের সঙ্গে আমরা কিছু জিনিষ মিলিয়ে নি, যেমন তাঁর মধ্যে আলাদা একটা স্মার্ট ভাব থাকবে, সেই মানুষটা একটু অন্যরকমের হবে, ভাল বুদ্ধি থাকবে। কিন্তু পুলিশের কি নরম মন থাকে না? তাতে কিন্তু কোনও সমস্যা নেই। আইকনিক অনেক অভিনেতা পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে অমিতাভ বচ্চন রয়েছেন, শশী কাপুর রয়েছেন, সেই জন্য পুলিশের সঙ্গে আমরা এই চেহারাগুলো মিলিয়ে নিয়েছি। আমার মনে হয়, এই ক্যারেকটারটায় নতুন কিছু অ্যাড আমি করিনি। বরং জিৎ যে ক্যারেক্টার করেছে, সেটায় ওকে দারুণ লেগেছে, বা ওকে নিয়ে ভাবা উচিৎ। কারণ, ও অনেকদিন পর এরকম ডাকসাইটে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করল।
রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের কাজ নিয়ে কোনও বক্তব্য?
এটা তো অস্বীকার করার নয়, যে সারাদেশে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আর আমরা এটাও জানি যে পুলিশ চাইলে, ভয়ঙ্কর রকম কিছু করতে পারে। মানুষকে প্রোটেক্ট করতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সিনেমায় দেখানো হয় যে পুলিশকে দারুণ গ্লোরিফাই করা হচ্ছে, আবার কিছু ছবিতে দেখানো হয়, যে পুলিশ মানেই খারাপ আর কোরাপশন। অনেকসময় পুলিশকে ওপরতলার চাপে কাজ করতে হয়, কারণ তাঁরা চাকরি করছেন, দেশের দশের কথা ভাবছেন। তারাও মানুষ, তাঁদের কিন্তু সংসার ধর্ম আছে। এটুকু বলা উচিত, পুলিশ রাস্তায় আছে জানলে এখনও অনেকের ভরসা আসে। তবে, আমরা রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের ক্ষেত্রে বলতে পারি, যে তাঁরা যেভাবে পুজোর সময় ট্র্যাফিক সামলায়, অনবদ্য।
ব্যক্তিগত জীবনে কোনও পুলিশ, যার ব্যক্তিত্ব খুব ভাল লাগে?
আসলে, আমি ব্যক্তিগত স্তরে কাউকে সেভাবে চিনি না। টিভিতে বা ভিডিওতে অনেককে দেখেছি। আলাপ পরিচিত খুব একটা নেই। বর্তমান কমিশনার মনোজ ভার্মা, উনাকে খুব ভাল লাগে। উনাকে দেখলে মনে হয় এক কথার মানুষ। জাভেদ শামীম একজন তাঁদের মধ্যে। সৌমেন মিত্র, কমিশনার অফ পুলিশ ছিলেন, তাঁকে আমার খুব ভাল লাগত।