মেয়ে মানেই আপোস করার নিয়ম! নিজের পছন্দ-অপছন্দ লুকিয়ে কখনও শ্বশুর ঘরের ইচ্ছেকে আপন করা, আবার কখনও বা কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিয়ে সংসার করা। কারণ, প্রচলিত সমাজ আমাদের ভাবতে শিখিয়ে, 'সংসার সুখের সুখের হয় রমণীর গুণে…।' আবার অনেকের মুখেই শোনা যায় বাঙালিরা নাকি ব্যবসা জানে না। গুজরাত কিংবা অন্য প্রদেশের লোকেরা এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। আর সেই প্রেক্ষিতেই এক মহিলা ১০টা ৫টার চাকরি ছেড়ে হেঁশেলি ব্যবসা খুলবে! ও বাবা নৈব নৈব চ! প্রচলিত সেই ধ্যানধারণাকে ভাঙতেই আসছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রশ্ন ছুঁড়লেন, "ব্যবসা করলে কি বাঙালির জাত যায়?" আসলে অভিনেত্রী এখন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত নয়া সিনেমার নায়িকা। আর সেই সিনেমার মলাটরোলেই নায়িকাকে দেখা যাবে হেঁশেলে হাতা-খুন্তি নিয়ে নিজের প্যাশনকে আপন করে ব্যবসা খুলতে।
পরমের ‘বৌদি ক্যান্টিন’-এর কর্ত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। গল্পে যাঁর নাম পৌলমী। ভাল চাকরি করলেও হেঁশেলে-ই তার প্রিয়। রান্না করতে ভালবাসে সে। আর সেই প্যাশনকেই পেশা বানাতে চায় পৌলমী। কিন্তু বাঁধ সাধে শাশুড়ি। স্বামী অবশ্য বেজায় সাপোর্টিভ। যে ভূমিকায় দেখা যাবে পরমব্রতকে। এদিকে পৌলমী শুভশ্রীর বন্ধুর তরিত্রে সোহম চক্রবর্তী। মধ্যবিত্ত বাঙালি ঘরের সুগৃহিনীর অবতারে বেশ মানিয়েছে শুভশ্রীকে। অনুসূয়া মজুমদারকে দেখা যাবে শাশুড়ির চরিত্রে। সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেল সদ্য।
<আরও পড়ুন: ‘তোমার তো ৪টে বিয়ে!’ প্রসেনজিৎ-কে সটান বিঁধলেন দেব? পাল্টা দিলেন বুম্বাও>
দৈনন্দিন ঘরবন্দী সে অভ্যেস যে নারীকে সাফল্যের চূড়াতেও পৌঁছে দিতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ আসমা খান। ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান শেফ। সেই রাঁধুনির সঙ্গে জন্মসূত্রে বাংলার সম্পর্ক থাকলেও তিনি এখন লন্ডনে একাধিক ভারতীয় রেস্তরাঁয় মালকিন। আর সেই আসমার জীবনকাহিনীর প্রেক্ষাপটেই গল্প সাজানো হয়েছে।
পরিচালক পরমব্রতর কথায়, “এক বিশেষ সামাজিক বার্তা দিতে আসছে ‘বৌদি ক্যান্টিন’। আমাদের সমাজের একাংশ একজন নারীকে তখনই সফল বলে মনে করে যখন সে বাইরে গিয়ে কাজ করে। তবে নিজের গুণাবলীর মাধ্যমেও কিন্তু একজন নারী পুরুষের সমকক্ষ হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ঠিক যে বিষয়টা এই ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন