বিজেপির ক্ষমতায় আসা কিংবা সরকার গড়ার নেপথ্যের কারিগর ছিলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। তাঁর নির্ধারিত নির্বাচনী প্রচার স্ট্র্যাটেজিতেই পদ্ম ফুটেছিল দিল্লির মসনদে। সেকথা অবশ্য রাজনৈতিক মহলের অন্দরে এযাবৎকাল অনেকেই স্বীকার করে এসেছেন। কিন্তু বলিউড অভিনেতা তথা গেরুয়া শিবিরের একদা সাংসদ, রাজনীতিক পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal) পিকের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা স্বীকারে নারাজ। আর সম্ভবত সেই কারণেই একটি ভিডিও টুইট করে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে খোঁচা দিলেন প্রশান্ত কিশোরকে।
গেরুয়া শিবির থেকে সরে এসে প্রশান্ত বর্তমানে ব্যস্ত বাংলার রাজ্য-রাজনীতি নিয়ে। মমতা সরকারের সবুজ ধ্বজা যাতে স্বমহিমায় ওড়ে, বাংলার ঘাসফুলের জমিতে যাতে কোনওমতে পদ্ম না ফুটতে পারে, সে জন্যই নির্বাচনী কৌশলী কষায় পিকে এখন শশব্যস্ত। তৃণমূলের নেতা-সাংসদরা দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সম্প্রতি কম কটু কথা শুনতে হয়নি পিকেকে। পালটা তার যোগ্য প্রত্যুত্তরও দিয়েছেন তিনি। সেই ভোটকুশলীর ওপরই কিনা গিয়ে পড়ল পরেশ রাওয়ালের রাগ! গেরুয়া শিবির থেকে সরে এসে বাংলার রাজনৈতিক কৌশলের হাল ধরাতেই কি পিকেকে কটাক্ষ পরেশের? উঠছে প্রশ্ন।
বড়দিনের প্রাক্কালে একটি টুইট করেছেন পরেশ রাওয়াল। মূলত ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একটি লোক চলন্ত একটি ট্রেনকে এমনভাবে থামানোর অভিনয় করছে, যাতে মনে হচ্ছে তার বল প্রয়োগেই ট্রেনটি স্টেশনে এসে থেমেছে। আবার কিছুক্ষণ পর ট্রেনটিকে এমনভাবে ধাক্কা দেওয়ার ভঙ্গি করল, যেন সে না থাকলে ট্রেনটা চলতই না! অথচ ট্রেনটি কিন্তু নিজের গতি অনুসারেই এগিয়ে চলছিল। তার ধাক্কা দেওয়া বা না দেওয়ায় কিছুই যেত-আসত না। এই চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে পরেশ বিজেপি সরকারের ক্ষমতায় আসার বিষয়টিকে উপমা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। পিকেকে খোঁচা দেওয়াই ছিল যার উদ্দেশ্য।
ভিডিয়োটির ক্যাপশনে লেখা, "২০১৪ সালে মোদীজিকে এভাবেই ভোটে জিততে সাহায্য করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর।" অর্থাৎ, আমদাবাদ-পূর্বের একদা বিজেপি সাংসদ আকারে ইঙ্গিতে বোঝাতে চেয়েছেন যে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির জনসংযোগের দায়িত্ব পিকের কাঁধে এসে পড়লেও, দলকে জেতানোর নেপথ্যে আদতে তাঁর কোনও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না।