Parineeti Chopra Childhood Birthday Celebration:পরিণীতি চোপড়া, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রী। একাধিক হিট ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। রাঘব চড্ডার সঙ্গে রাজকীয় বিয়ে সেরেছেন পরিণীতি। কিন্তু, একটা সময় চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কেটেছে। ছোটবেলাটা কেটেছে আম্বালায়। অত্যন্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে পরিণীতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার জীবনযাপন নিয়ে কথা বলছিলেন।
কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই পরিণীতি বলেন, কতটা কষ্ট করে বাবা-মা তাঁকে মানুষ করেছেন। বাবার উপার্জন এতটাই কম ছিল, জন্মদিনে পরিবারের সঙ্গে কেক কাটার বদলে রসগোল্লা বা রসমালাই কেটেছেন। কিন্তু, পরিণীতির দিদা-দাদু অত্যন্ত ধনী ছিলেন। তাঁরাল কেনিয়ায় থাকতেন। তাঁরা পরিণীতি ও তাঁর ভাইদের বিজনেস ক্লাসে সেখানে নিয়ে যেতেন। Mashable Middle East-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চাকচিক্যের আড়ালে থাক জীবনের কঠিন সময়ের কথা বলেন পরিণীতি।
তিনি বলেন, 'মা-বাবা আমাকে এমনভাবে মানুষ করেছেন যে কোনও জায়গায় আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে বড় হয়েছি। আমি মা-বাবার লড়াইয়ের সাক্ষী। আমার জন্য জন্মদিনের কেক কেনার সামর্থ ছিল না বলে একটা রসগোল্লা কিনে আনা হত। সেটাই আমি কেটেছি। জন্মদিনের দিন মা-বাবা একসঙ্গে মার্কেটে গিয়ে একটা রসগোল্লা নিয়ে আসতেন। কখনও আবার রসমালাইও আনতেন। ওটাই আমাদের কাছে বার্থডে কেক। কিন্তু, আমার দিদা-দাদু খুব ধনী ছিলেন। প্রতি বছর স্কুলের গরমের ছুটিতে আমাকে আর দুই ভাইকে নিয়ে যেতেন। তখন আমরা ওই সময়টা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতাম।'
ছোটবেলা কষ্টের মধ্যে মানুষ হয়েছেন বলেই জীবনে সবরকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে চলতে পরেন বলে দাবি পরিণীতার। তাঁর কথায়, 'আমি আহর আমার দুই ভাই জীবনে ভাল-খারাপ দুটো পরিস্থিতিই দেখেছি। তাই আমরা যেখানে যাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না। কারও সঙ্গে কথা বলতে বা বন্ধুত্ব করতেও অসুবিধা হয় না। খুব সহজেই মিশতে পারি।' ২০২৪-এ অমর সিং চমকিলা-তে শেষ দেখা গিয়েছে পরিণীতিকে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের স্ত্রীর চরিত্রে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন পরিণীতি।