'সবার জন্য ঘর বরাদ্দ থাকলেও মাঠে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত ইরফান'। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতাল থেকে তখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সেই খবর, ইরফান খান নেই! অকালপ্রয়াণে 'ডুব' এর অভিনেতাকে স্মরণ করলেন সহ-অভিনেত্রী পার্নো মিত্র।
সদ্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখেছেন ইরফান খান অভিনীত আংরেজি মিডিয়াম। ছবির শেষ দৃশ্য এখনও মনে গাঁথা রয়েছে পার্নোর। বাংলাদেশের ছবি ডুব-এর সৌজন্যে ইরফানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল পার্নো মিত্রের। ইরফানের চলে যাওয়ায় বুলেটিন আওয়ারসের প্রশ্নে, সেই স্মৃতিতেই ডুব দিলেন অভিনেত্রী। ডুব: নো বেড অফ রোজেস- ছবিতে নীতু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পার্নো। প্রধান চরিত্রে ইরফান। 'কোনও কিছুতেই সমস্যা ছিল না ওর, কোনও বিষয়েই কোনও অসুবিধা ছিল না, একদম মাটির মানুষ।" প্রসঙ্গত, 'ডুব' সিনেমাটি ৯১ তম অকাডেমি অ্যাওয়ার্ড-এর জন্য পাঠানোও হয়। যদিও নমিনেশনের তালিকায় স্থান পায়নি।
আরও পড়ুন, মাত্র ৬০০ টাকার জন্য ক্রিকেটার হওয়া হয়নি! জানুন পুরোনো কাহিনী
ঢাকার বেশ কয়েকটি লোকেশনে হয়েছিল ছবির শুটিং। ইরফান যে মাটির মানুষ শুধু চরিত্রে ছিলেন তেমনটা নয়, আক্ষরিক অর্থেই মাটির কাছেই ছিলেন তিনি। তাই রুমে নয় বরং ঘাসে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন 'ডুব' অভিনেতা। ইরফানের চলে যাওয়ার দিনে সেই কথাই স্মরণ করলেন পার্নো। তিনি এও বলেন যে সবসময়ই একটা বড় ঠোঙা বাদাম নিয়ে ঘুরতেন অভিনেতা। গোটা ইউনিটের সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন 'এক ঠোঙা' ভালোবাসাকে।
আরও পড়ুন, টেলিভিশন দিয়েই শুরু হয়েছিল ইরফানের জয়যাত্রা, ফিরে দেখা তাঁর ছোটপর্দার কাজ
তবে একসময়ের ক্রিকেট পাগল ইরফান কিন্তু সেট-এও সময় পেলেই ব্যাট হাতে নেমে পরতেন। পার্নো বলেন, "২০০৮ সালে উনি যখন কলকাতায় আসেন তখন আমার জন্য সেটা ফ্যানগার্ল মোমেন্ট ছিল। ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা যে আমার কাছে স্বপ্নের সেটাও বলি। ২০১৭ সালে ডুব-এ কাজ করার যখন সুযোগ পাই, সেই স্বপ্নই যেন পূরণ হয়েছিল আমার।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন