সালটা ২০২২ হলেও এখনও পর্যন্ত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির অনেকাংশেই শৌচালয়ের সমস্যা রয়েছে। আধুনীকিকরণের ছোঁয়ায় সবক্ষেত্রে ভোল প্লাটালেও এই একটি বিষয়ে এখনও গড়িমসি! লোকাল ট্রেনে কিংবা বাসে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর সেই প্রেক্ষিতেই মহিলাদের সমস্যার কথা তুলে সামাজিক বার্তা দিতে আসছে নতুন ছবি 'সু-সু'। সিনেমার নাম অবশ্য মূল চরিত্রের নাম থেকেই রাখা।
প্রসঙ্গত, এই ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করছেন পার্ণো মিত্র। যার নাম সুনেত্রা সুন্দরম। আর সেই নামের দুই আদ্যাক্ষর থেকেই ছবির নামকরণ করা হয়েছে 'সু-সু'। একেবারে বাস্তব সমস্যার কথা তুলে ধরবে এই ছবি। রাস্তাঘাটে অনেক সময়েই শৌচকর্ম করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন মেয়েরা। স্বচ্ছ শৌচালয়ের অভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখতে বাধ্য হন।
শুধু তাই নয়, অনেকেই রয়েছেন যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের পক্ষে এতক্ষণ সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখাটা সমস্যার। গল্পের নায়িকা সুনেত্রাও কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগী। যে জন্য প্রস্রাব না চেপে রাখতে পেরে ঘন ঘন শৌচালয়ে যেতে হয় তাঁর। কিন্তু ঘটনাচক্রে কাজে যেতে গিয়ে দীর্ঘদিন সে যখন একই সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকে। এরপরই একদিন প্রতিবাদী আওয়াজ তোলে সুনেত্রা। কীভাবে স্বচ্ছ শৌচালয়ের দাবিতে জনমত গড়ে তোলে সে? সেই গল্পই বলবে 'সু-সু'।
এপ্রসঙ্গে পার্ণো মন্তব্য, "আমার কাছে গল্পটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। আর আমরা মহিলারা প্রত্যেকেই কখনও না কখনও এরকম সমস্যায় পড়েছি। কোথাও গিয়েছি, সেখানে হয়তো শৌচালয় নেই। গল্পটার সঙ্গে মহিলারা রিলেট করতে পারবেন। আমার নিজেরও বহুবার এহেন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা হয়েছে। ট্রমাও বলতে পারো। আমাদের দেশেই কত জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সবসময়ে বিশেষত পরিস্কার শৌচালয় পাইনি।"
'সু-সু' পরিচালনা করছেন শিবরাম শর্মা। পরিচালক জানান, একবার ধর্মতলায় গিয়ে তাঁর স্ত্রীকেও স্বচ্ছ শৌচালয় না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এছাড়াও চারপাশে রোজ অনেক মহিলাদের এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে হয়। সেই ভাবনা থেকেই এই ছবি। পার্ণো ছাড়াও এই সিনেমায় অভিনয় করছেন শ্রীলেখা মিত্র, গল্পে যার নাম রত্না। রয়েছেন বাংলাদেশের দুই অভিনেত্রী খানুম নাদিয়া ও ফরজানা চুমকি। 'সু-সু'তে তাঁদের দেখা যাবে যথাক্রমে রোশনি ও পরমার ভূমিকায়। অন্যদিকে পার্ণো মিত্রর প্রেমিকের ভূমিকায় রয়েছেন সোমরাজ মাইতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন