Tragic accident of popular actor: মৃত্যু থেকে ফিরে বললেন, কেন? আমি ফিরে এলাম? আহ.. কিসের জন্য? অভিনেতার জীবনে ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। এবং নিজেকে জীবিত দেখে ঠিক এটাই ভেবেছিলেন যেন তিনি বেঁচে আছেন। প্রসঙ্গে অ্যাভেঞ্জার তারকা, জেরেমি রেনার। এই অভিনেতার সঙ্গে যা হয়েছিল, তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি যে বেঁচে থাকবেন। সেই গল্পই নিজে শিকার করেছেন এক পডকাস্ট শোয়ে এসে।
২০২৩ সালে নেভাডার বাড়িতে এসেই এই অভিনেতা ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হন। বরফের রাস্তায় স্নোপ্লো কিংবা বরফ কাটার বাহন তাঁকে ধাক্কা মারে। এবং তিনি তাঁর ভাইপোকে বাঁচাতে গিয়েই এই পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। যদিও বা তাঁর বাঁচার আশা একেবারেই ছিল না। কিন্তু, তিনি বেঁচে ফিরেছিলেন। জীবন মৃত্যুর মধ্যেকার এক ভয়ঙ্কর অনুভূতি অনুভব করেছিলেন তিনি। নিজেও আশা করেননি যে তিনি ফিরে আসবেন। অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল সেই প্রসঙ্গেই।
তিনি বলছেন, এক অদ্ভুত এবং অসাধারণ অনুভূতি। নিজের শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে যাওয়ার যে এই দারুণ বিষয়, এটা আমি বুঝতে পারছিলাম। এক দারুণ শান্তি। শুধু তাই নয়, কিছু চোখে দেখা যায় না। কিন্তু মগজাস্ত্রে এটাই চলতে থাকে যে, কী একটা হচ্ছে। আমি আমার জীবনের সেরা জায়গায় আছি। আপনার DNA, আত্মা, অ্যাড্রেনালিন রাশ সবকিছু যেন দারুণ তৃপ্তির মাত্রায় চলে যায়। কিন্তু, যে শান্তি আসে সেটা সাংঘাতিক। অনবদ্য এক অনুভূতি। ম্যাজিকের মত মুহূর্ত।
কিন্তু, নিজের বেঁচে ফিরে আসার বিষয়টি মোটেই ভাল লাগেনি তাঁদের। চোখ খুলে যখন অনুভব করেছিলেন তিনি বেঁচে আছেন তখন রেগে গিয়েছিলেন তিনি। অদ্ভুত কথাই বললেন তিনি। তাঁর কথায়, আমায় যখন উদ্ধার করা হচ্ছিল, আমি তখন মুহূর্তের মধ্যে ঢুকে গিয়েছি। আমি ফিরে আসতে চাইনি। আমার মনে আছে, আমায় যখন উদ্ধার করা হয়েছিল এবং আমি সেটা বুঝতে পারলাম, যে আমি বেঁচে আছি, আমার ভীষণ বিরক্তি হয়েছিল। আমি যেই চোখের দৃষ্টি ফিরে পেলাম, তখনই বুঝলাম! ইশ, কেন? আমি কেন ফিরলাম। যেই হাত পা দেখতে পারলাম, ভাবলাম! হে ঈশ্বর, আবার পরে ব্যথা হবে। কিন্তু, আর কী হবে? আমি তখন আশেপাশের মানুষকে বললাম শ্বাস নিতে দাও।
রেনারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের ৩০টা হাড় ভেঙে যায়। এছাড়াও ক্ষতবিক্ষত লিভার, সঙ্গে ফুসফুসে সাংঘাতিক আঘাত লাগে তাঁর।