Actor Passed Away: ক্যান্সার পিছু ছাড়লো না। একে একে শরীরের সমস্ত অঙ্গে বাসা করে নিল। ৩৭ বছরে তরতাজা প্রাণটা চলে গেল এক নিমেষে। কোন ওষুধ কাজ করলো না কোন চিকিৎসায় সারা দিলেন না অভিনেতা। লাস্ট চারটে বছর ধরে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরের সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল এই রোগ। বিভূ রাঘবে, অকালেই যেন ঝড়ে পড়লেন। তিনি সমাজ মাধ্যমে তার রোগ এবং চিকিৎসা নিয়ে নানান ধরনের ভিডিও করতেন। যখন তিনি চলে গেলেন বেশ কিছু দৃশ্য দেখে হৃদয় মোচর দিয়ে উঠল।
মায়ের সামনে সন্তানের মৃত্যু এই দুঃখ সাংঘাতিক। যে সন্তানকে নয় মাস নয় দিন গর্ভে রেখে একজন মা জন্ম দেয়, সে হঠাৎ করেই চলে যাবে এটা কেউ ভাবতে পারে? চার বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন অভিনেতা। এবং, শেষ কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে, শেষ রক্ষা হলো না। বেশ কিছু দৃশ্য নাড়া দিয়ে গেল মানুষকে...
কটা চোখ, সুন্দর চেহারার বিভু নারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সেই মানুষটা, ধীরে ধীরে যেভাবে শুকিয়ে গেলেন, কিন্তু তাঁর মনের জোশ ছিল সাংঘাতিক। গতকাল তাঁকে যখন শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার মা সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। চোখের জলে ছেলেকে বিদায় জানালেন তিনি। অশ্রুধারায় কেবল ঈশ্বরের কাছে যেন একটাই প্রশ্ন কেন? সন্তানকে শেষবারের মতো মন ভরে দেখে নিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে, বানভাসি চোখের জল যেন থামছে না। বারবার নিজের হাত দিয়ে চোখের জল মুছে ছেলেকে দেখে নিচ্ছিলেন।
আর বন্ধুরা? কাছের বন্ধু চলে যাওয়ার যন্ত্রনা শুধু সেই বন্ধুই জানে যার জীবন থেকে সে চলে গিয়েছে। হিন্দি টেলিভিশনের বহু মানুষকে সেখানে দেখা গিয়েছে। কোন কোন তারকা তো বন্ধুকে কাঁধ পর্যন্ত দিয়েছেন শেষ যাত্রায়। কিন্তু বন্ধুদের চোখের জল যেন বারবার সেই মুহূর্তে, সেই স্মৃতিতে ফিরে যাচ্ছিল যেই সময় সকলকে ভাল রেখেছিলেন বিভু। অভিনেতা মোহিত মালিক, বন্ধুকে গালে হাত দিয়ে একবার স্পর্শ করে নিলেন। আর তো ছুঁয়ে দেখতে পারবেন না? অন্যদিকে যখন শ্মশানে চিতার আগুনে জ্বলছেন অভিনেতা, তখন আরেক বন্ধু মহসিন খান, একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছেন। যেন শেষবারের মতো কত কথাই বলে দিলেন তিনি। এছাড়াও, আরও অন্যান্য তারকারা কেউ কপাল চাপড়ে, আবার কেউ এক জায়গায় স্থির হয়ে বসেই বন্ধুকে মানবদেহ ছেড়ে ছাই হয়ে যেতে দেখলেন। এসব দৃশ্য যেন চোখে দেখা যায় না। তারা বলছেন, তোমার জন্য আমরা গর্বিত। তুমি যেভাবে এতগুলো বছর ধরে লড়াই করলে, এটি প্রশংসনীয়।