Tollywood Actress Tragic Life: মানুষের জীবনে কিছু কিছু ঘটনা এমন ঘটে, যেগুলো তাদের জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। এমন যে তাদের জীবনে ঘটতে পারে যেন কেউ আশাও করতে পারে না। একটা মেয়ে যখন বিয়ের পিঁড়িতে বসার স্বপ্ন দেখে তখন তার মনের মধ্যে অনেক কিছু চলতে থাকে। স্বপ্নের মানুষটিকে কাছে পেয়ে, নতুন জীবন শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে নতুন পরিবারের মানুষগুলোকে আপন করে নেওয়া পর্যন্ত, অনেক কিছুই তার ভাবনার চিন্তায় থাকে। কিন্তু বিয়ের দিন বেনারসি পড়ে সেজেগুজে যখন তিনি জানতে পারলেন যে বর আর আসবে না...
তারকাদের জীবন কি সবসময় খুব হ্যাপেনিং হয়? তারা কি তারকা বলে তাদের জীবনে অসম্ভব কিছু ঘটতে পারে না? তাঁরাও আর পাঁচজনের মত সাধারণ মানুষ এবং তাদের জীবনেও খুব ক্ষত রয়েছে সেই কথা অনেকেই জানেন না। সেই সমস্ত ক্ষত তাদেরকে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশেষ করে অভিনেত্রীদের মধ্যে দেবলীনা দত্ত, নিজের ব্যক্তিগত জীবনে এমন কিছু দেখেছেন যা তাকে মানুষ চিনতে শিখিয়েছিল। যে মানুষটি নিজের বিয়ে নিয়ে এত স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁর যে বিয়েটাই হবে না কেউ ভেবেছিলেন।
বিয়ের পরেই প্রাক্তন Mohun Bagan-র তারকা ফুটবলার জানতে পারলেন স্ত্রী অন্…
দেবলীনা বলছেন, "আমি সেজেগুজে বেনারসি পরে মাথায় ফুল দিয়ে গায়ে গয়না পরে, বিয়ের আসরে বসে ছিলাম। আমাদের গোটা বাড়িটা সাজানো হয়েছিল আলো দিয়ে। ক্যাটারিং এর রান্না হয়ে গেছে। বহু মানুষ বড় বড় গিফট নিয়ে আসছেন। আমাদেরকে গিফট দিচ্ছেন। কেউ কেউ খেয়ে বাড়িও চলে যাচ্ছেন যে এত রাত হয়ে গেছে, কিন্তু আমার সঙ্গে যার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তিনি আর এলেন না। আমি এটুকু বুঝতে পারলাম না যে মানুষটার সঙ্গে রাত্রিবেলা দেড়টা নাগাদ আমার এই কথা হলো যে আমরা কিন্তু বাসর জাগব, তোর সব দাদা বৌদিদের বলে দিবি যে আমরা বাসর জাগব। তিনি আর এলেন না।"
পরের দিন সকাল থেকেই আর ফোনে পাওয়া গেল তাদের কাউকে। বরের সঙ্গে সঙ্গে বরযাত্রী সকলেরই ফোন বন্ধ ছিল। দেবলীনা বলেন, আমার ন বছর বয়সে বাবা মারা গিয়েছিলেন। ছোট থেকে মা বড় করেছেন। তিনি দেখছেন যে আমার মেয়ে সেজেগুজে বসে আছে কিন্তু আর বর এলো না। তিনি কিন্তু হার্টের পেসেন্ট ছিলেন। সকাল বেলা আমি জানতে পারলাম তার নাকি ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এবং আমি তাকে সেই হাসপাতালে দেখতে গেলাম। গিয়ে জানতে পারলাম যে ওই নামের কোন পেশেন্টই সেখানে ভর্তি হয়নি। যে ডাক্তারের অধীনে নাকি তিনি ছিলেন, বললেন এরকম হয় তো। অনেকেই কারণে অকারণে ভর্তি হয়ে যায়।
যদিও সেদিনের সেই ঘটনাকে আশীর্বাদ চোখেই দেখেন তিনি। এমনকি এও বলেন, আমি খুব আনন্দিত যে আমার সঙ্গে সেদিন ওই ঘটনা ঘটে, ওই নাটকটা আমি সচক্ষে দেখেছিলাম, নইলে আমি ভুল মানুষকে বিয়ে করে ফেলতাম। জানতেই পারতাম না কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক।