বাক বিতন্ডা, অশান্তি, সংসারে বিচ্ছেদ...পরীমণি এবং রাজের জীবনে যেন অশান্তির শেষ নেই। দিনের পর দিন পার হলেও তাদের সম্পর্কে কোনও সুরাহা নেই। বরং, এখন ঘটনা অন্যদিকেই মোড় নিচ্ছে!
পরী নাকি জ্বরের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল, ছবি পোস্ট করতেই পরীমণি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান যে, তাঁর প্রচুর জ্বর, একটা কথাও বলতে পারবেন না। স্বামী রাজের সঙ্গে ছেলের জন্মদিন পালনের পরেই ঘটতে শুরু করে দুর্ঘটনা। সেদিনের পরেই পরী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং জানা যায়, মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তারক্তি কান্ড রাজেরও। স্টিচ পরে পরীমণির স্বামীর। এখানেই শেষ নয়...
দুজনে একই হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও একে অপরের খবর জানেন না তাঁরা? কিন্তু, পরীমণির রহস্য অন্য কথা বলছে। কানাঘুষো খবর, পরীমণি জ্বরের কারণে না বরং তিনি নাকি নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলেছিলেন! একারণেই হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি হতে হয়। তাহলে কি পরিস্থিতি সঙ্গ না দিতেই তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন? সেই উত্তর এখনও মেলেনি। তবেঁ, রাজ এবং তাঁকে দুজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন - Pori Moni: সন্দেহের ঘনঘটা! হাসপাতালে ভর্তি পরী, মাথা ফেটে রক্তারক্তি স্বামী রাজের
অন্যদিকে, তাঁর স্বামী শরিফুল রাজ। সেও আঘাত পেয়েই একই হাসপাতালে ভর্তি হয়। এবং তাঁর মাথায় চারটি স্টিচ পরে। আসলে অন্দরের খবর এখনও অজানা। ছেলের জন্মদিনের দিন রাজকে ঢুকতে দেননি পরী। কিন্তু পরের দিন বাংলাদেশের এক প্রযোজকের অফিসেই ছেলেকে নিয়ে জন্মদিন পালন করেন তাঁরা। একে অপরকে জড়িয়ে ছবিও তোলেন। তাহলে হলো টা কী? সেখানেই কি কোনও অশান্তি হল?
কাহিনী এখানেই শেষ নয়..হাসপাতাল সূত্র একই কথা বলছে। তারাও জানিয়েছেন, পরীকে হাত কাটার কারণেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ঘটনা একেবারেই মিথ্যে নয়। এবং তিনি তাঁর বন্ধু তমাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে এসেছিলেন সেকথাও মিথ্যে নয়। অন্যদিকে, রাজের সহকারীও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।