তাঁকে ডানা কাটা পরী বলা উচিত নাকি বাংলাদেশের সুপারস্টার? অভিনেত্রী পরীমণি মানেই বিতর্ক। তাঁর জীবনের প্রতিটা পাতা ভীষণভাবে খোলা। একেই এত সাফল্য, তাঁর সঙ্গে নানা মুখরোচক খবর বারবার তাঁকে শিরোনামে রাখেনি, বরং দিয়েছে কিছুটা খ্যাতি আর অনেকটা কু-খ্যাতি। কিন্তু, তাঁর ডানা মেলতে বাঁধা নেই। ভীষণ ঠোঁটকাটা মানুষটি সহজেই মনের কথা বলে দেন। এবার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রশ্নের উত্তর দিলেন পরী।
Advertisment
কলকাতায় কাজ করে কেমন লাগল?
ওখানে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাড়ানো। নিজের চরিত্র হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো এবং সেই চরিত্রকে দেখা। আনন্দের বিষয়। সেখানে আরও কাজ করব। এর আগেও বলেছি আবার বলছি, আমি খুব চাই ওখানে কাজ করতে। কলকাতায় ছয় মাস দেশে ছয় মাস।
বাংলাদেশের সঙ্গে টলিউড সিনে ইন্ডাস্ট্রির পার্থক্য রয়েছে?
সেখানে মাত্রই শুরু হয়েছে। অভিজ্ঞতা তেমন কিছুই অর্জন করতে পারিনি। তবে তারা খুব অর্গানাইজড। টেকনিক্যালি ভাবে তারা আমাদের থেকে এগিয়ে আছে। গল্প বলার ক্ষেত্রেও তারা এক ধাপ এগিয়ে। এই পার্থক্যই দেখি।
এই ইন্ডাস্ট্রির কোনও নায়িকার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ইচ্ছে রয়েছে?
সকলেই আমার সহকর্মী। প্রতিযোগিতার ফল কোনও সময় ভালো হয় না। সঙ্গে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। এক সঙ্গে মিলে কাজ করলে সেটা সব সময় ভালো ফল বয়ে আনে।
ফেলু বক্সির লাবণ্য পরীমণির মত নাকি আলাদা?
ফেলু বক্সির লাবণ্য একটা থ্রিল। আমার জীবনের পথচলাটাও একটা থ্রিল। আর লাবণ্য চরিত্রটা লোভনীয়। বাকি কিছু পর্দায় দেখবেন সবাই।
কলকাতার মিষ্টি ছাড়া আর কী কী পছন্দ?
ওখানে আমার অনেক খাবার প্রিয়। মিষ্টি ছাড়া যদি বলি, তাদের ফুচকা। গাড়িতে যেতে যেতে দেখেছি নিউ টাউনের দিকে অনেক ফুচকা। ডাব বিরিয়ানি এমন অনেক কিছু আছে।
ডানা কাটা পরী সেই বিখ্যাত গান, নিজেকে ডানা কাটা পরী বলতে ইচ্ছে হয়?
আমার ডানা তো আমার ছেলে রাজ্য। সে আমার সঙ্গেই আছে থাকবে। তাই ডানা কাটা পরী নয় ডানা সহ পরী।
মা, নাকি অভিনেত্রী…দায়িত্ব এবং কমিটমেন্টের দিকে নিজেকে কোনটায় এগিয়ে রাখবেন, ও কেন?
অভিনেত্রী হিসেবে কাজ হাতে নিলেও মা হিসেবে কিছু শর্ত আমার থাকে। যেখানে আমি মা হিসেবে সন্তানের দায়িত্ব উপেক্ষা করতে পারব না। আর অভিনয় আমার পেশা। তাই অভিনয় এবং মা কোনওটা ছেড়ে আমি কোনওটাকে এগিয়ে রাখব না। দুই ক্ষেত্রেই দায়িত্ব- কমিটমেন্ট আমি সমানতালে চালিয়ে যাব।