কলকাতার পথে পরীমণি ( Porimoni )! কারণ কী? নতুন কোনও কাজ নাকি একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। কানাঘুষো খবর, তাঁর আদরের পদ্মর শরীর ভাল নেই। ছেলের ( Porimoni Son Rajya ) জন্যই এবার তড়িঘড়ি কলকাতা আসছেন তিনি।
এর আগেও এসেছেন বহুবার। ছেলেকে নিয়েই এসেছেন শহর কলকাতায়। কিন্তু, এবার তাঁর এক্কেবারে স্বস্তি নেই ভালবাসার শহরে এসেও। ছেলে রাজ্যর চিকিৎসার প্রয়োজন। টানা ৭ দিন বাংলাদেশের হাসপাতালে পরীর ছেলে ভর্তি থাকার পরেও লাভ হয়নি। বরং সেই খুদে বাচ্চাটির চিকিৎসার প্রয়োজনে পরী এবার কলকাতায়।
কী হয়েছে পরীমনির ছেলের ( What Happened to Porimoni's Son )?
সূত্রের খবর, রাজ্যর শরীরে দুটো ভাইরাস ধরা পড়েছে। তাঁর সুস্থতার কারণে, পরী এবার শহরে এসেছেন। তাঁর ছেলের অসুস্থতা সম্পর্কে চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ( Chayanika Chowdhury ) লিখেছেন, "এভারকেয়ার হাসপাতালে টানা ৭ দিন থাকার পর, ছেলের চিকিৎসার জন্যে সরাসরি কোলকাতার পথে পরী মণি। পদ্ম খুব খুব অসুস্থ। তার দুইটা ভাইরাস ধরা পড়েছে।পরীও পুরোপুরি সুস্থ না।কিন্ত কিছুই করার নেই। আপনারা সবাই পদ্মর জন্যে পরীর জন্যে দোয়া/প্রার্থনা করবেন। যেন আমাদের আদরের বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। পদ্ম খুব কষট পাচ্ছিল।"
ভারতে তাঁর সঙ্গে আসতে পারেননি চয়নিকা। ভিসার জন্য তাঁকে সমস্যা পোয়াতে হয়েছে। তিনি আরও যোগ করলেন, "ইন্ডিয়ান ভিসা থাকলে সত্যি তোমার আর পুন্য/পদ্ম এর পথের সাথী হতাম,আমাকে বলতে হতো না। তুমি তা জানো। আমি জানি,আমি সাথে গেলে তোমার অনেক রিলিফ লাগতো। তোমাকেও এইভাবে ছেড়ে দিতে আমার ভালো লাগেনি। অনেক কান্না পাচ্ছে তোমাদের এয়ারপোর্টে বিদায় দেবার সময়। পরী,আমি জানি তুমি ফাইটার। তুমি অনেক বুদ্ধিমতি,তুমি অনেক ধৈর্যশীলা মানুষ। তুমি একাই সব পারবে। আমি শিওর। তুমি জয়ী হয়েই আসবে। তোমার ছেলে বড় হয়ে তোমার এই জীবনের গল্প মনে রাখবে আর প্রাউড ফিল করবে। মা এত্ত ভালোবাসা আর আশির্বাদ তোমার আর পদ্ম এর জন্যে।সাবধানে থেকো।"
আরও পড়ুন - ‘এর থেকে বড় শোক আর আসবে না…’, প্রিয় মানুষের কবরের পাশে বসে রইলেন পরীমণি
ছেলের সুস্থতা, কামনায় পরী এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে অসুস্থ সেই নিয়ে অভিনেত্রী আগেই জানিয়েছিলেন। শীতকালে আরও বেশি অসুস্থতা ঘিরে ধরেছে। পরী লেখেন, "শীত কালে সবাই খাবার দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেইফ থাকা মুশকিল। বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমান মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিলো। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালক সহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকভার করলেও পুন্য এখনো হসপিটালাইজড!"
আরও পড়ুন - ‘গ্লানিতে ভুগতে ভুগতে মনে হয় উত্তর দিই তাঁর মেসেজের…’, স্বীকারোক্তি পরীমণির!
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নিজের কাছের মানুষকে তিনি হারিয়েছেন। দাদুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে কবর দেওয়ার পর যেন আরও নিজেকে শক্ত করে ধরেছেন তিনি। আর এখন কলকাতায় ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত।