কাছের মানুষ চলে গেলে কতই না কষ্ট হয়। এর থেকে বেশী শোক বোধহয় আগে তিনি পাননি। পরীমণি উজাড় করলেন তাঁর মনের যন্ত্রণা।
Advertisment
গতকাল দাদুকে হারিয়েছেন তিনি। আর কেউ ছায়া সঙ্গী হয়ে রইল না। অভিনেত্রী, ভেঙে পড়েছেন এমনটাই সবাই ভেবেছিল। কিন্তু না! বরং দাদু যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে যথেষ্ট শক্ত করে দিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে পরিবারের বট গাছ বানিয়েছেন। পরী সমস্তটাই উজাড় করলেন। তাঁর কবরের পাশে বসেই লিখলেন...
এই কবর স্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন।" অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর মা চলে যাওয়ার পরও কোনোদিন নিজেকে অনাথ হিসেবে দেখেননি। দাদু ছিলেন এক আত্মা এক প্রাণ। তিনি আরও লিখলেন...
"এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কি ছিলো। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।
এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো শান্তনায় রেখে গেলো আমাকে। জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর…….।"
কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তাঁর ঠাকুরদাদা। অনেক চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারলেন না পরী। বরং, এবার নিজের এল পথ চলার পালা। দাদুর আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।