একদিকে যেমন উৎসবের মরশুম। অন্যদিকে তেমনই কারওর কারওর জন্য মোটেই আনন্দের লেশমাত্র নেই। বিশেষ করে যখন তিনি বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরীমণি। নানা সামাজিক চাপ, সম্পর্ক নিয়ে কটু কথা পেরিয়েও যেন কত বিপদ। খালি হাসপাতাল আর বাড়ি।
Advertisment
তিনি কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। একরত্তি ছেলেকে নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বিপদ যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। একসময় তিনি নিজের অসুস্থতা সামলেছেন। তারপর বাড়ির লোকের। সঙ্গে ছেলের দেখভাল তো রয়েছেই। আর এই সবকিছু সামলে উঠে যেটি সবথেকে বেশি রয়েছে সেটি হল পরিবারের সেবা করা এবং কাজ। একসঙ্গে অনেকগুলো প্রজেক্ট সাইন করেছে তিনি। তার মধ্যেই শুটিং ছেড়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল জ্বরের জন্য।
একরকম ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। সামাজিক এবং আইনি ভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে তাঁর পদ্মফুল। ছেলে রাজ্যকে মানুষজন যা ভালবাসেন, তাতে তিনি আপ্লুত। পরীর থেকেও বেশি ছোট সদস্যকে দেখতে চান সকলে। পরী বলেন…
"আজ কতগুলো দিন হসপিটালেই যাচ্ছে আমার। প্রথমে আমি ভর্তি হলাম জ্বর নিয়ে। তার দুই দিন পর আমার নানা ভাই! আমি সুস্থ হয়ে এখন নানাকে কেয়ার করছি। বাসা হসপিটাল- হসপিটাল আর বাসা। ফেইসবুকে সময় করতে পারছি না ঠিক। কিন্তু যতটুকুই আসি প্রায় সবাই আমার পদ্মফুলের কথা বলেন, দেখতে চান। নতুন ছবি/ভিডিও। আমার কি যে ভালো লাগে! কতো ভালোবাসেন সবাই আমার বাচ্চাটাকে!"
হাসপাতালের করিডোরে বসে নিজের আগামী কাজের মিটিং করছেন তিনি। সেখানেই নিজের মত করে সবকিছু সাজিয়ে নিয়েছেন তিনি। আরও যোগ করলেন.."এই ছবিগুলো হসপিটালের নিচেই তোলা। আমার নতুন একটা কাজের খুব ছোট একটা মিটিং করে ফেললাম এই হসপিটালের করিডোরেই। এই ব্যপারে খুব শিগ্রই জানাবো সবাইকে। ছবিগুলোও তুলে দিয়েছেন আমার এই নতুন ডিরেক্টর মেহেদি হাসিব ভাই। বাসায় ফিরে সব কাজ শেষ করে দেখলাম এই মধ্যরাত ছাড়া আর এগুলো লেখার সময় করতে পারবো না আগামী আরো কয়েকটা দিন। কাল থেকে আবার আমি ডোডোর_গল্প সিনেমার শুটিং এ ও জয়েন করছি।"
এতকিছুর পরেও জীবনকে একটু বিস্বাদ মনে হয় না তার। বরং সেটিকে সুন্দর ভাবেই উপভোগ করছেন তিনি। ছেলেকে নিয়েই জীবনের এক সুন্দর অধ্যায় সাজিয়ে নিয়েছেন। আপাতত সুস্থ আছেন। আজ থেকেই ডোডোর গল্প ছবির শুটিংয়ে আবার নতুন করে জয়েন করবেন।