পরীমণি, তাঁকে অভিনেত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন মানুষ হিসেবেও অনেকেই পছন্দ করেন। বিশেষ করে, বর্তমানে তাঁর সমাজ মাধ্যমের পাতায় নজর রাখলে দেখা যাবে, যে তিনি নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখতে পছন্দ করেন।
Advertisment
এবার সব ছেড়ে তিনি মৃত্যুর কথা বলছেন কেন? অন্তত দুদিন আগেই তাঁর জন্মদিন গিয়েছে। তাঁর মধ্যেই মৃত্যু এত আপন হল কী করে? অভিনেত্রীর মনে গ্লানি, তিনি চূড়ান্ত কষ্ট পাচ্ছেন। জীবনে একটা সময় এহেন ভাবনা আসা খুব স্বাভাবিক। তবে পরীর জীবনে এই উপলব্ধি করতে বাধ্য করেছেন তসলিমা নাসরিন। পরী লিখছেন...
"ফেসবুকে আমার বন্ধু তালিকায় আছেন, বা নেই, এমন কারও মৃত্যু সংবাদ শুনলে আমি তাঁর প্রোফাইলে যাই, দেখি কী লিখতেন, কী বিশ্বাস করতেন, মৃত্যুর আগেই বা কী লিখেছিলেন, মেসেজ দেখি, আমাকে কোনও মেসেজ কখনও পাঠিয়েছিলেন কি না দেখি।"
তিনি বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা। তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তাই, প্রতিদিন হয়তো, কয়েকশো মানুষ কিছু না কিছু তাঁকে মেসেজ করেন। তাঁর ব্যাস্ততার চোটে প্রতিদিন রিপ্লাই করে হয়ে ওঠে না। নিজেকে আজও গিলটি মনে করেন তিনি। তাই, তসলিমার কলমে লেখা একটি বিষয় তিনি সুন্দর উপস্থাপন করলেন... লিখলেন... "আমার তখন খুব কষ্ট হতে থাকে। গ্লানিতে ভুগতে থাকি। জীবিত কত হাজারো মানুষের মেসেজের উত্তর দিই না, দিচ্ছি না, এ নিয়ে কোনও অপরাধবোধ কিন্তু নেই। অথচ মৃত্যু হলেই মনে হয় মেসেজের উত্তর দিলেই পারতাম, দিলে মানুষটা খুশি থাকতো। গ্লানিতে ভুগতে ভুগতে মনে মনে উত্তর দিই তাঁর মেসেজের, মনে মনে এও দেখি মানুষটা খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আসলে মৃত্যু না হলে আমরা কাউকে মূল্য দিই না।"
উল্লেখ্য, একসঙ্গে যেমন অনেক ছবিতে তিনি সাইন করেছেন। তেমনই তিনি নিজের বিবাদ বিতর্কের সম্পর্ক থেকেও রেহাই পেয়েছেন। ছেলেকে নিয়েই এখন তাঁর সংসার। প্রতিদিন কাজে যাওয়ার সময় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। সেও মায়ের কোলে ঘুমাতে ঘুমাতে ফ্লোরে যায়।
এবছর তাঁর জন্মদিনেও আড়ম্বর ছিল না। একদম সাদামাটা কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর দাদু খুবই অসুস্থ। অস্ত্রোপচারের পর এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় গোটা পরিবার।