সারা পৃথিবীজুড়ে করোনা সংক্রমণ অর্থনৈতিক-সামাজিক সমস্ত স্তরেই নানা প্রভাব ফেলছে। করোনা প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণার অনেক আগে থেকেই এদেশে বন্ধ হয়েছে সব ধরনের শুটিং। আবার লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ফলে প্রযোজক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রত্যেকেই নানা দুশ্চিন্তায় জর্জরিত। অর্থনৈতিক সংকট তো রয়েছেই, কিন্তু পরিচালক সুজিত সরকার ফিল্মজগতের অন্য একটি বিষয়ের দিকে আলোকপাত করেছেন।
সম্প্রতি তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে একটি প্রশ্ন তুলেছেন এবং তা হল এর পর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিং কীভাবে হবে। সামাজিক দূরত্বের থিওরি কি রাতারাতি উবে যাবে? নাকি কোভিড-আতঙ্ক জারি থাকবে আরও বহুদিন এবং এর পর সিনেমায় চুম্বন দৃশ্য বা যে কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শুটিং করার সময় পরিচালকদের কোনও বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে হবে?
আরও পড়ুন: জুনিয়র আর্টিস্ট নয়, ‘এক দো তিন’ গানের শুটিংয়ে ভিড় ছিল ১০০০ আসল দর্শকের
অনেক সময়েই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অস্বস্তি এড়াতে, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেন পরিচালক ও ডিওপিরা। অনেক সময় ঠিক যতটা ঘনিষ্ঠ দেখতে লাগে পর্দায়, আসলে ঠিক ততটা ঘনিষ্ঠতা থাকে না শুটিংয়ে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেই সব পদ্ধতির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন পরিচালক। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কি আবারও আগের মতো স্বচ্ছন্দ হতে পারবেন শুটিংয়ের সময়ে নাকি ভিতর ভিতর সংক্রমণের ভয় কাজ করবে আর চিট করে শুটিং করতে হবে?
পরিচালকের এই প্রশ্নে অনেকেই মজা পেয়েছেন আবার অনেকে উদ্বিগ্নও হয়েছেন। অভিনেত্রী দিয়া মির্জা ওই পোস্টে পরিচালককে ট্যাগ করে লেখেন, ''গুরু, ফিল্মমেকিংয়ের গোটা প্রক্রিয়াটাই তো প্রচণ্ড ইন্টিমেট। কত মানুষ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে একের পর এক মুহূর্ত তৈরি করে। তুমি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কথা বলছ শুধু, বাকিটা কী হবে? ক্যামেরার পিছনে যারা থাকে, আমরা সবাই কি মাস্ক আর গ্লাভস পরে কাজ করব। কে জানে, সময়ই বলবে।''