নিজের নায়িকাদের নিয়ে সবসময়ই মানসিক ভাবে তৈরি থাকতেন তিনি। কারওর ক্ষমতা থাকত না তাঁর সিদ্ধান্তে বদল আনার। পরিচালক হিসেবে তো অনবদ্য ছিলেনই তাঁর সঙ্গে আরও সুনাম ছিল একজন মানুষ হিসেবেও। অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাছে পরিচালক সাহেব নন, বরং দাদা হিসেবেই প্রিয় ছিলেন।
একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি, 'পরিণীতা' থেকে 'মর্দানি', 'হেলিকপ্টার ইলা', 'লাগা চুনরি মে দাগ' - সবসময়ই ভিন্ন ধরণের গল্প বলতে তিনি ভালবাসতেন। শুধু তাই নয়, চরিত্রের মনমত অভিনেত্রী পছন্দ হয়ে গেলে তাঁকে টলানো যেত না। সেই কারণেই তো বিদ্যা বালান জানিয়েছিলেন, ললিতার চরিত্রে তাঁকে কাস্ট করতে বিধু বিনোদ চোপড়ার সঙ্গে লড়েছিলেন প্রদীপ। তাঁর আগে বিদ্যার সঙ্গে দু একটা অ্যাড শুট করেছিলেন বটে, কিন্তু মনে মনে এও জানতেন, যে ললিতার চরিত্রে বিদ্যা একদম যথাযথ।
আরও পড়ুন < বলিউডে নক্ষত্রপতন! প্রয়াত ‘পরিণীতা-মর্দানি’ খ্যাত বাঙালি পরিচালক প্রদীপ সরকার >
অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আমায় ছয়মাস ধরে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দাদা জানতেন, যে আমিই ললিতা। কম করে ৭৫ বার তাঁর পরীক্ষা নেওয়া হয় কিন্তু একদম একদম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আমার সঙ্গে ওনার অন্যরকম একটা সম্পর্ক ছিল। ঠিক যেন বাবার মত। ঝগড়া করতাম, লড়াই করতাম। উনাকে এবং উনার স্ত্রীকে আমি অভিভাবক হিসেবে দেখতাম। কাজ ছাড়া উনি কিছুই বুঝতেন না।
এদিকে প্রদীপ দাদার নটি না হওয়ার আক্ষেপে মর্মাহত কঙ্গনা। কথা ছিল মুম্বই ফিরেই দেওখা করবেন। কিন্তু সে আর হল কই? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করে লিখলেন, "আমার বাঙালি খাবার পছন্দ উনি জানতেন। নটি বিনোদিনীর প্রেপ মিটের সময় দেখা হল। এত খারাপ খবর। আমার মন ভারাক্রান্ত। কি করে এই দুঃখ থেকে বের হব জানি না"।
সামনেই ছিল বিরাট কাজ। কঙ্গনার সঙ্গে নটি বিনোদিনী ছবিতে কাজ করার প্ল্যানিংও চলছিল। যাতে বিরাট উৎসুক ছিলেন অভিনেত্রী নিজেও। দাদা চলে গেলেন...শোকাতুর বলিপাড়া। অজয় দেবগণ থেকে মনোজ বাজপেয়ী, অভিষেক বচ্চন শোকজ্ঞাপন করেছেন অনেকেই।