প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান হল তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। কলকাতার এক নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার নিজের স্টুডিও থেকে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রতীক। এমনকী বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে যান, এরপরেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিশিষ্ট গায়ককে। সেখানেই সন্ধ্যেবেলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রতীক চৌধুরী।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নার্সিং হোমেই রাখা থাকবে তাঁর দেহ। বুধবার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বেলেঘাটা ত্রিকোণ পার্কের বাড়িতে। তারপরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর। এর আগেও একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন গায়ক। রেখে গেলেন এক পুত্র ও এক কন্যাকে।
আরও পড়ুন, বাঙালি ‘পদাতিক’ মৃণাল সেন ছাড়া আর কতটুকু জানে?
নব্বইয়ের দশকে বাংলা গানে প্রতীক চৌধুরী জনপ্রিয় নাম। বিজ্ঞাপনী গান দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গায়ক। কুকমি, খাদিম, টাটা স্টিল, স্টিলাক্সের মতো বিজ্ঞাপনে কালজয়ী হয়ে আছে প্রতীকের কণ্ঠস্বর। দুই বাংলাকে সুরের মায়াজালে বেধেছিলেন তিনিই। গান গেয়েছেন 'বাঙালিবাবু' (২০০২), 'পাতালঘর' (২০০৩)-এর মতো ছবিতে। সম্প্রতি কবীর সুমনের সুরে অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' ছবিতেও গান গেয়েছিলেন তিনি।
পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় বললেন, "১০ দিন আগে ওঁর সঙ্গে সাতটি ছোট গান রেকর্ড করলাম। এখনও তার মিক্সিং চলছে। এরমধ্যেই এই খবর। আমার ছবি 'শঙ্কর মুদী' মুক্তি পাচ্ছে, সেখানেও প্রতীক গান গেয়েছে, প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছে সেখানে। আমি তো ভাবতেই পারছি না। ভীষণ খেতে ভালবাসত।"
বহুদিন পর গত বছরের ডিসেম্বরে নিজের জন্মদিনে অনুরাগীদের উপহার দিয়েছিলেন 'এই বাংলার নীড়ে' অ্যালবাম। এদিন সবাইকে ছেড়ে দূরে, বহুদূরে চলে গেলেন মন বাঁওরা’র স্রষ্টা। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীতমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।