মায়ের ডাক নয়, ঘুম ভাঙে বোমার শব্দে। বাতাসে কাঁচা বারুদের গন্ধ। ধ্বসে যাওয়া বাড়ির নিচে শেষ হয়েছে কত শত শৈশব। ছাড় পায়নি দুধের শিশুরাও। কারও মা-বাবা, ভাই-বোনেদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। আবার কাউকে বা ওই ধ্বংসাবশেষের নিচেই আটকে থাকতে হয়েছে দিনরাত। রাশিয়া ক্রমাগত গুলি ও বোমা বর্ষণের বলি বহু শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য। এবার সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনেই শান্তির বার্তা দিতে পৌঁছলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
Advertisment
রাশিয়া-হানায় ওরা হারিয়েছে স্বজন। এখন ওই শিশুদের পরিচয় শুধু উদ্বাস্তু। দেশ, ভিটে-মাটি হারিয়ে শরণার্থী শিবিরে এখন তাদের সংসার। সেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দূতদের পাশে দাঁড়াতেই মার্কিন মুলুক থেকে সোজা পৌঁছে গেলেন ইউক্রেনে। উদ্বাস্তু শিশুদের সঙ্গে সময় কাটালেন। গল্প করলেন। তাদের একটুকরো শৈশব ফিরিয়ে দিতে হাতে তুলে দিলেন পুতুল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের শিশুরাও অভিনেত্রীকে কাছে বেজায় খুশি। শিশুসুলভ আচরণে বলে উঠল, এই পুতুলগুলোর নাম প্রিয়াঙ্কা হলে কেমন হয়? এমন কথা শুনে তো নায়িকা আবেগাপ্লুত হয়ে গেলেন। ইউনেসকোর শান্তি-দূত হিসেবে যখন উদ্বাস্তু শিশুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন ওদের ঝলমলে মুখগুলো দেখে প্রিয়াঙ্কার দু' গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। ওদের পরিস্থিতি দেখে-শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেশি গার্ল।
প্রিয়াঙ্কা নিজেই সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাগ করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখেন, "যুদ্ধের এই ক্ষতগুলো আমরা হয়তো সংবাদমাধ্যমে দেখি না। কিন্তু আজ ওয়ারসোতে ইউনিসেফ মিশনে গিয়ে খুব কাছ থেকে আমি প্রত্যক্ষ করে এসেছি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন