বছর তিনেক বাদে ভারতে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। মুম্বইয়ের ইতি-উতি ঘুরে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে কাজও সারছেন। আর এই ব্যস্ত ভারত সফরের মাঝেই ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ছুটলেন উত্তরপ্রদেশে। শুধু তাই নয়, যোগীরাজ্যের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ প্রিয়াঙ্কা।
উত্তরপ্রদেশের নারীসুরক্ষা, শিশুসুরক্ষা বিশেষ করে নজর কেড়েছে দেশি গার্স-এর। যোগীরাজ্যে যেখানে ধর্ষণ, মহিলাখুনে, শিশু নির্যাতনের খবর প্রায়শই শিরোনামে আসে, সেখানে প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য, উত্তরপ্রদেশে নাকি আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নারীকল্যাণ, সমাজে মহিলাদের উন্নয়ন দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার লখনউতে আয়োজিত ইউনিসেফ-এর এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। শৈশবে তাঁর অনেকটা সময় কেটেছে এই শহরেই। তাই স্মৃতির শহর লখনউতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জোনাস-ঘরণি। যদিও দেশি গার্ল আসার প্রাকমুহূর্তে লখনউয়ের বেস কয়েকটা জায়গা নেটিবাচক পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিস তাঁর বিরুদ্ধে। যাতে স্পষ্ট লেখাা ছিল- 'নবাবের শহরে প্রিয়াঙ্কা স্বাগত নন..।' যদিও কে বা কারা কোন উদ্দেশে এমন পোস্টার লাগিয়েছেন, তা জানা যায়নি। এমনকী প্রিয়াঙ্কাও এপ্রসঙ্গে কোনওরকম মুখ খোলেননি।
<আরও পড়ুন: ‘ইন্ডাস্ট্রির কেউ খোঁজ নেয় না, সব অকৃতজ্ঞ’, আক্ষেপ স্ত্রী-হারা পরিচালক প্রভাত রায়ের>
উল্লেখ্য, ইউনিসেফ-এর ওই অনুষ্ঠানের পর বেশ কয়েকটা অঙ্গনওয়াড়িতেও যান প্রিয়াঙ্কা। সেখানে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান। গল্প করেন। তা যোগীরাজ্যের প্রশংসা করে ঠিক কী বললেন দেশি গার্ল? প্রিয়াঙ্কার কথায়, বিগত ২ দিনের উত্তরপ্রদশ সফরে বড় পরিবর্তন লক্ষ করেছি। এই পরিবর্তনটাই দরকার ছিল এখানে। উত্তরপ্রদেশের স্কুলগুলিতে মেয়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে। শিশুসুরক্ষা ও তাদের পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। হিংসার ঘটনাও গত কয়েকবছরের তুলনায় কম। আর সেই প্রেক্ষিতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।
অভিনেত্রী তথাা ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে প্রিয়াঙ্কা এও জানান যে, ভারতে প্রথম পুষ্টি সংক্রান্ত অ্যাপের কাজ শুরু হবে উত্তরপ্রদেশ থেকেই। ওই অ্যাপের মাধ্যমেই অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা শিশুদের হালহকিকত জানতে পারবেন। যাতে করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরও সুবিধে হবে।