সম্মুখ সমরে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। 'সোনার বাংলা' গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই 'উঠে-পড়ে' লেগেছে গেরুয়া শিবির। তার মাঝেই সরস্বতী পুজোর শুভক্ষণে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) ‘দরবার’-এ বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে জোর শোরগোলের সূত্রপাত। টলিউডের ‘ফার্স্টম্যান’ তিনি। জনপ্রিয়তাও কাঁথি থেকে কোচবিহার সর্বত্র। অতঃপর তাঁর 'সুপারস্টার' বাতাবরণ যে একুশের নির্বাচনী রণ-নীতিতে বঙ্গ বিজেপির পক্ষে সহায়ক-ই হবে, তা হলফ করে বলা যায়। স্বাভাবিকবশতই রাজনৈতিক মহলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে যে, 'তাহলে কি গেরুয়া শিবিরের প্রচার মুখ হতে চলেছেন প্রিয় বুম্বাদা? তাঁকেও পদ্ম শিবিরের 'ঝাণ্ডা' হাতে তুলে নিতে দেখা যাবে?' কারণ, প্রসেনজিতের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকে কিন্তু শুধুমাত্রই 'সৌজন্যমূলক' আখ্যা দিতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় (Anirban Ganguly) সরাসরি বিজেপির কোনও পদে না থাকলেও, বাংলায় পদ্ম ফোটানোর লড়াইয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরের সম্মুখসারির সৈনিক হিসাবেই পরিচিত। কাজেই এই কৌতূহল অমূলক নয়। এপ্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কী মত?
প্রথমেই বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা সপাটে উড়িয়ে দিলেন। 'নায়কের' সাফ কথা, তিনি একজন অভিনেতা। আর তাঁর গুণমুগ্ধ হিসেবেই অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সস্ত্রীক এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে। অমিত শাহকে নিয়ে লেখা নিজের বইও উপহার দিয়েছেন, একেবারে সৌজন্য বিনিময়ের খাতিরেই। কাজেই এতে আলাদা করে কোনওরকম রাজনৈতিক যোগদানের জল্পনার 'স্ফুলিঙ্গ' ওঠা উচিত নয় বলেই, মনে করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি, অভিনেতার বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে ওঠায়, এপ্রসঙ্গে তিনি মুখ খুলেছিলেন এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে। সেখানেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন ইন্ডাস্ট্রির 'বুম্বাদা'।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন যে, তিনি পদ্ম শিবির কেন, কোনও রাজনৈতিক দলেই যোগ দিচ্ছেন না। অনির্বাণের স্ত্রী এবং কন্যা 'অভিনেতা প্রসেনজিৎ'-এর একনিষ্ঠ ভক্ত। সেই কারণেই তাঁরা দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁর কথায়, "প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যদি রাজনীতিতে যোগ দেয়, তাহলে ৫ বছর ধরে ভেবেচিন্তে বুক ফুলিয়েই নামবে। কখনও লুকিয়ে-চুরিয়ে নয়! কিন্তু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কখনও রাজনীতিতে যাবে না।"
প্রসঙ্গত, নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। চা-চক্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গেও আলাদা করে তাঁর কথা হয়েছে। সেই সাক্ষাৎ নিয়েও ‘কৌতূহল’-এর পারদ চড়েছিল, সে প্রসঙ্গে অবশ্য অভিনেতার মত, তিনি ভিক্টোরিয়ায় গিয়েছিলেন শুধুমাত্র নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে। একটি সরকারি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে।