সত্তরের উত্তাল সময়। বাংলায় তখন নকশালদের হুঙ্কারে তটস্থ সকলে। সন্ধে হলেই লোডশেডিং। অন্ধকার পাড়া। গুলি, বোমা, সাইরেনের আওয়াজ। এদিকে বড় বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে একলা থাকেন প্রসেনজিতের (Prosenjit Chatterjee) মা রত্না চট্টোপাধ্যায়। বুম্বা আর পল্লবী তখন ছোট। শেষমেশ টালিগঞ্জের বাড়ি থেকে দমদমে চলে আসতে হয় তাঁদের।
'কাবেরি অন্তর্ধান' রিলিজের আগে এক আড্ডায় নকশাল পিরিয়ডের সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। উল্লেখ্য, এই সিনেমার গল্পের প্রেক্ষাপটও উত্তাল নকশাল সময়ে এক ভিন্নস্বাদের প্রেমকাহিনী। যেখানে কাবেরির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং নকশাল সমর্থক এক চিত্রকরের চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎকে। সিনেমা প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই নকশাল পর্বের কথা উঠে আসে।
<আরও পড়ুন: ‘পুলু তুই বাইরে যা তো…’, সৌমিত্রকে সেদিন ঘর থেকে বের করে দেন উত্তম কুমার>
প্রসেনজিৎ সেসময়ে ছোট। রাজনৈতিক মতাদর্শ তখনও তৈরি হয়নি তাঁর। বুম্বা বললেন, "বড় হয়ে নকশাল আন্দোলন নিয়ে পড়েছি। বুঝেছি। তবে সেইসময়ে মা, আমি আর বোন একসঙ্গে টালিগঞ্জের বাড়িতে থাকতাম। বাইরে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না। বাবাকে সিনেমার কাজে মাঝেমধ্যেই দীর্ঘসময় মুম্বইতে থাকতে হত। অত বড় বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন মা। কারণ সন্ধে হলেই লোডশেডিং। মোমবাতির আলোয় পড়তে হত। এরপর মা আমাদের নিয়ে দমদমের বাড়িতে চলে যান। মামাবাড়ি যৌথ পরিবার। অনেক লোক।"
গোলাগুলি, বোমার আওয়াজ যাতে না ঢোকে, তাই সবসময়ে দরজা, জানলা বন্ধ রাখা হত। শুধু তাই নয়, উত্তাল সময়ে কোনও এক নিকট আত্মীয়কে হারিয়েছিলেন বুম্বা। বাড়িতে শোকের ছায়া। সেই সময়ের এহেন ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা আবছা মনে রয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। 'কাবেরি অন্তর্ধান'-এর প্রচারের সময়ে তিনিই শেয়ার করালেন সেসব কথা।