প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে মায়েদের গুরুত্ব ঠিক কতটা বেশি আজ যেন আরও বেশি করে প্রমাণ করলেন তিনি। একটা নয়, অনেকজন মায়ের আশীর্বাদ নিয়েই তিনি প্রসেন স্টার হয়ে উঠেছেন। আর তাদের সঙ্গে এবার পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি।
Advertisment
তাদের আশীর্বাদ নিয়েই যে তিনি যোগ্য হয়ে উঠেছেন একথা সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। জীবনে জন্ম দিলেই কি মা হওয়া যায়? রুপোলি পর্দার মায়েদের আশীর্বাদ যে কতটা সেটা জানালেন বুম্বা নিজেই। অভিনেতা একে একে তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
একদম প্রথমে মাধবী মুখোপাধ্যায়। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে নিয়ে প্রসেনজিৎ বললেন, আমার যখন ৫ বছর বয়স, উনি আমার তখনকার মা, তাঁকে নিয়ে নিশ্চই আর কিছু বলতে হবে না। তারপর এলেন শকুন্তলা বড়ুয়া। অভিনেতার জীবনের প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ ছবি অমর সঙ্গী। সেই ছবিতেই শকুন্তলা বড়ুয়া তাঁর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন। অভিনেতা বলেন, আমি যেখান থেকে প্রসেনজিৎ হলাম ইনি সেই মা।
তাঁর পাশে বসে রয়েছেন লিলি চক্রবর্তী। যিনি তাঁর অযোগ্য ছবিতে মায়ের ভূমিকায় রয়েছেন। ঠিক তারপাশেই রয়েছেন তাঁর জীবনের সবথেকে হিট মা। অর্থাৎ অনামিকা সাহা। কখনও প্রসেনজিৎ অভিনয় করেছেন তার ছেলের ভূমিকায় আবার কখনও তাঁর জামাইয়ের ভূমিকায়। বুম্বা বললেন, আমার এই মায়ের সঙ্গে কত ঝগড়া হয়েছে আমি জানি না।
আর সবশেষে এলেন লাবনী সরকার। সবথেকে ছোট মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে প্রসেনজিৎ বললেন, "একটা সময় ছিল যে আমি শট দেওয়ার সময় ওর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম আর শট শেষ হলে ও আমার পায়ে হাত দিত।"
উল্লেখ্য, অভিনেতার এই মিষ্টি ভিডিওতে মন ভাল হয়ে গিয়েছে দর্শকদের। তাঁর একটাই কারণ, কেউ কেউ বলেন, মা তো মাই হয়। আবার কেউ বললেন, এই আশীর্বাদ গুলো কাজে লেগে গিয়েছে।