বুধবার দুপুরে আচমকাই নবান্নে হাজির প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি 'ইন্ডাস্ট্রি'। টলিউডের বর্তমান অভিভাবকও বটে! তবে রাজনীতি থেকে সাধারণত দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। আর সেই তারকাই যখন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসেন, তখন তা নিয়ে অল্প-বিস্তর যে কথা হবে, বলাই বাহুল্য।
কানাঘুষো সেই খবর চাউর হতেই জল্পনা তুঙ্গে! তাহলে কি প্রসেনজিৎও এবার রাজনীতিতে পা রাখছেন? সেই কৌতূহল সর্বত্র। তবে ধোঁয়াশা সরালেন অভিনেতা নিজেই। প্রসেনজিতের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেদিনকার সাক্ষাৎ শুধুই সৌজন্যমূলক। এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। ইন্ডাস্ট্রির হাল-হকিকত খোঁজ নিতে মাঝেমধ্যেই মমতা তলব করেন পরিচালক গৌতম ঘোষ ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। এবারও সেইরকমই।
এদিন প্রায় ৪০ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটান প্রসেনজিৎ। বহুদিন বাদে দেখা 'দিদি'র সঙ্গে। কী কথাবার্তা হল? অভিনেতা জানান, বাংলা ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি পারিবারিক আলোচনাও হয়েছে। ছেলে তৃষাণজিতের খোঁজ নিয়েছেন মমতা। টলিউডে কী চলছে, সে খবরও জানতে চান মমতা। প্রথমটায় কথা ছিল কুড়ি মিনিট দেখা করার। কিন্তু গল্প করতে করতে সেটা পরে দাঁড়ায় চল্লিশ মিনিটে।
<আরও পড়ুন: শিক্ষকদের অপমান! রোষের মুখে বাংলা ধারাবাহিক, নেটপাড়ায় ছিঃ ছিঃ করছেন দর্শকরা>
বুম্বাকে দিদির মতোই স্নেহ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতঃপর ভাইয়ের সঙ্গে যখন আড্ডা, তখন মিষ্টিমুখ না হলে চলে! প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ভালবেসে আমও খাইয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিনোদুনিয়ার তারকাদের সঙ্গে মমতা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সকলেই তাঁকে দিদির মতো ভালবাসেন। আর প্রিয় তারকাদের কাছে পেলে তিনিও আতিথেয়তা করার সুযোগ ছাড়েন না। বুধবারও তার অন্যথা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলা বিনোদুনিয়ার সঙ্গে রাজনীতি এখন ওতপ্রোতোভাব জড়িত। বিশেষ করে একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকে একাধিক তারকার বিজেপি-তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক অন্তত এমনটাই বলে! সেই সমীকরণ থেকেই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন যে, এদিন রাজনৈতিক কারণেই নবান্নে হাজির হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ! তবে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি বলেন, ইন্ডাস্ট্রির কুশল-মঙ্গল জানাতে এটা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন