দুর্গাপুজো কার্নিভালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করে বেজায় ট্রোলড স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। 'ভোটের টিকিটের লোভে?' প্রশ্ন তুলেছিল নেটপাড়া। ভয়ঙ্কর ট্রোলের সম্মুখীন হয়ে নায়িকা পাল্টা জবাবে বলেছিলেন, ‘চকোলেট নিয়েছি, ঘুষ নয়’। পুজো কার্নিভালে স্বস্তিকাকে দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি খোদ শ্রীলেখা মিত্রও।
কার্নিভালের পর দিন তিনেক পেরলেও বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি। উত্তরোত্তর সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। এবার টুইটারে এক ব্যক্তি নায়িকার স্বর্গীয় বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়কে টেনে বিকৃত মন্তব্য় করে ফেললেন। যা দেখে-শুনে পাল্টা কটাক্ষের জবাব দিতে ছাড়লেন না নায়িকা।
জনৈক ব্যক্তি স্বস্তিকার উদ্দেশে টুইট করেন, "এমন নীরবতায় আমি হতবাক! ওঁর বাবা নিশ্চয় নিজের কবরেও পাশ ফিরেছেন। বাংলায় নিরাপদভাবে জীবনৃযাপন করার জন্য শিল্পীদের বিকল্প পেশা না থাকলে হাওয়াই চটি না চেটে এঁরা থাকতে পারেন না। অর্থনীতির এত দুরাবস্থা।.." এমন কটুক্তি নজর এড়ায়নি স্বস্তিকার। অতঃপর রিটুইট করে জবাব ছোঁড়েন তিনি।
স্বস্তিকার কথায়, "আমি মুসলিম নই। জন্মসূত্রে একজন হিন্দু। আমার বাবাও তাই। আমাদের দেহ মৃত্যুর পর দাহ করা হয় এবং সেই ছাই নদীতে ফেলা হয়। তাই এখানে কবরও নেই, আর ফেরার কোনও প্রশ্নও নেই। আমি যে ভদ্রতা, মর্যাদা, শ্রদ্ধা জানিয়েছি, তা দেখে আমার বাবা খুব গর্ববোধ করবেন। কারণ উনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, কোনও টুইটারের বন্ধু নন।"
<আরও পড়ুন: ‘ওমা কমিউনিস্ট লক্ষ্মী…’, ধনদেবীর অবতারে দেখেই শ্রীলেখাকে ভয়ঙ্কর আক্রমণ>
প্রসঙ্গত, শনিবার রেড রোডে তারকাখচিত পুজো কার্নিভালের আয়োজন হয়েছিল। এদিন সিনেইন্ডাস্ট্রি থেকে ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখদের দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাশে। সেই একই মঞ্চে নজর কেড়েছিল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিও। যিনি কিনা বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই প্রতিবাদে মুখর থাকেন। সেই নায়িকাকেই দেখা গেল মমতার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে। যা দেখে নেটপাড়ার নীতিপুলিশেরা রীতিমতো রে রে করে উঠেছেন। সমালোচকদের একহাত নিয়ে পাল্টা উত্তরও দিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
অভিনেত্রী বলেন, “চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়। আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, বর্বর নই। কাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও একই ভাবে নমস্কার করব কারণ সেটাই ঠিক। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বকে আমি শ্রদ্ধা করি। তার মানে রাজনৈতিক মতবিরোধিতার সঙ্গে আপোষ করা নয়। যেটা অন্যায়, তা নিয়ে নিশ্চই বলব। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে আমায় জিহাদ ঘোষণা করতেই হবে, নাহলে-ই আমার মেরুদন্ড ধ্বসে পরবে এমন কোনও দাসখত আমি লিখিনি। আর আমার ধ্যান-ধারণা বিবেক বিচার আপনাদের কথায় ওঠানামা করে না।”