সমস্ত দোকানপাট ঘুরে ফেলেছেন নিশ্চয়ই। কেনাকাটায় গড়িয়াহাট, দক্ষিণাপন, হিন্দুস্থান পার্কের বুটিক, কিচ্ছু বাদ নেই। অথচ পুজোর ফ্যাশনে নিজেকে নজরকাড়া করে তোলার হিড়িক আপনার, আমার থাকেই। কিন্তু মানতেই হবে সেই ট্রেন্ডে আজও শাড়িই সেরা। পুজোর চারটে দিন শাড়িতে বঙ্গললনারা নিজেদের সাজিয়ে তুলবেন না, তা সম্ভব নয়। অর্জুন দত্তর অব্যক্ত ছবিতে একে অপরের বিপরীতে কাজ করেছেন অনুভব ও খেয়া। অন্যদিকে গুলদস্তা ছবিতে কাজ করবেন অনুরাধা ও ইশান জুটি। উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হতে বাঙালি সবসময়েই রাজি, তাই পুজোর আগে হাল ফ্যাশনের খোঁজ দিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
শাড়ি - আনারকলিঃ রূপ শৃঙ্গার
পাঞ্জাবিঃ কালারস এন্ড ফাব্রিক্স
ব্লাউস -গয়নাঃ অরণ্য
মেকআপ- কেশঃ উজ্জ্বল দত্ত
স্টাইলিংঃ পৌলমি গুপ্ত
লোকেশন- দ্য পার্ক
পুজো দোরগোড়ায়। তাই নিজেদের ঢেলে সাজাতে সমস্ত প্রস্তুতি শুরু বাঙালির। এই তালিকায় বাদ পড়েননি তারকারাও। বড়পর্দার অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলাল ও খেয়া চট্টোপাধ্যায়ের প্ল্যানও সারা। সপ্তমীর সাজ ট্রেন্ডের সঙ্গে সাবেকীয়ানার মিশেল। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
এদিন পুজোর শুটেও খুঁজে পাওয়া গেল তাদের মধ্যেকার রয়াসন। ফোটো তোলার সময়ে যেই পোজ দিয়েছে অদিতি ওরফে খেয়া অমনি অনুভবের লেগপুলিং শুরু, কষ্টে হাসি থামিয়ে তবে এই পোজে অব্যক্ত অভিনেত্রী। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
কম যায়না খেয়াও, অনুভবও শুট করবে তখন। যেমনি ভাবা অমনি কাজ, বাজে কথা বলে অনুভবকে হাসিয়ে ফোটো খারাপ করায় পিএইচডি করল খেয়া। বেচারা পোজ দেওয়ার জন্য খেয়াকে মারতে বাকি রেখেছিল আরকি। তাহলেই বুঝুন শুটিংয়ে কী কাণ্ডটাই না হয়েছিল। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
পুজোর ফ্যাশন বলে কথা। মোটেই হালকা মেজাজে নেয়নি অনুরাধা-ইশান। ঠিক সময়ে এসে মেকআপ আর নতুন পোশাক পরে তৈরি। অষ্টমীর দিন শাড়ি না হলে তো মেজাজটাই মাটি। ছেলেদের এদিনটায় পাঞ্জাবিই সেরা। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
গুলদস্তায় অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে ইশানকে। তাহলে অনুরাধা কেন এখানে জুটি বেঁধে উপস্থিত, এটাই ভাবছেন তো। সে খোঁজ মিলবে ছবির মুক্তির পর। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
দু'জনকে নিয়েই নাজেহাল এই সময়ে আসরে অনুরাধা মুখোপাধ্যায় ও ইশান মজুমদার। সামনেই গুলদস্তা ছবির জন্য একসঙ্গে কাজ করছেন তারা। তবে অনুরাধার ভঙ্গি প্রফেশনাল মডেলের মতোই, কিছুতেই টলানো যায়নি। ক্যামেরা তাক করলেই পোজ অন। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
ইশান-অনুরাধার খুনসুটির সময়েই নবমীর সাজে উপস্থিত খেয়া-অনুভব। শাড়িকেই জিনসের উপর কায়দা করে পরে ট্রেন্ডি বানিয়ে ফেলাই যায়, তবে ব্লাউজে বনেদিয়ানার ছাপ। ছেলেরা পাঞ্জাবি কিংবা কুর্তা, এই চারটে দিন ইস্টার্ন পোশাকই হোকনা। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
এই পোশাকে খেয়া যে বেশ সাবলীল তা বোঝাই যাচ্ছে। পোজের বাহার দেখুন। চাইলে শাড়িটা বাদও দিতে পারেন এদিন জিনসের উপরে এই ধরনের ব্লাউজ টপ খারাপ লাগবে না। তবে সেক্ষেত্রে স্লিপার ও স্লিং ব্যাগটা মাস্ট। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
ইন্ডিগো প্রিন্ট যেকোনও উৎসবে মানানসই। এই পোশাকের একটা সুবিধে রয়েছে কখনই আউট অফ ফ্যাশন হয়না। পুজোয় বৃষ্টি হোক বা প্যাচপ্যাচে গরম সুতির পাঞ্জাবি আনবিটেবল। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
তবে এই ছবিটা দেখলে বোঝা যাবে নবমীর সকালে বেশ রোমান্টিক ভাবেই ধরা দিতে পারেন প্রিয়জনের সঙ্গে। ভাল ভাল ছবি তুলুন, তাই শাড়িটা একটু শিফন হলে মন্দ কি, ম্যানেজ করার ঝামেলা নেই। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
উৎসবের মেজাজে গল্পগুজব, খাওয়া-দাওয়া সবটাই বেনিয়মে। একটু আধটু গসিপও হবে। দুই বান্ধবী একজোট হলেই সকাল উতরে যাবে। তার সঙ্গে যদি ছবি বা নিদেনপক্ষে সেলফি, ব্যস দিনটা জমে গেল। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
নিজেদের অনন্যতা বজায় রেখেই সাজুন উৎসবে। ফোটো- শশী ঘোষ
উপচে পড়া ভীড়, বিজ্ঞাপনি চমক, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ লাইটেই কাটবে সপ্তমী থেকে দশমী। এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
বাঙালির সেরা উৎসবে ফ্যাশন অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। আনন্দ উৎসবের প্রাক্কালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা সন্ধান দিল নতুন ফ্যাশন ডেস্টিনেশনের।