চণ্ডীগড় প্রশাসন বুধবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টকে জানিয়েছে, শনিবার গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্ট চলাকালীন শব্দের মাত্রা নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে প্রশাসনের তরফে এই বক্তব্য দেওয়া হয়। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে আদালতকে জানানো হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট আয়োজকদের শব্দ দূষণ বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে পরের দিন সন্ধ্যায় দোসাঞ্জের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি শীল নাগু এবং বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপালের ডিভিশন বেঞ্চ শব্দদূষণের জন্য পরিবেষ্টিত বায়ুর গুণমান কঠোরভাবে বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।
সম্প্রতি, চণ্ডীগড়ের এক বাসিন্দা একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। যিনি সেক্টর ৩৪ প্রদর্শনী মাঠে শব্দ দূষণ এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। প্রশাসনকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হলে তাদের স্থায়ী কৌঁসুলি এই বিষয়ে হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ করে চণ্ডীগড়ের ডেপুটি কমিশনার একটি কমিটি গঠন করেছিলেন এবং পুরো লাইভ কনসার্ট জুড়ে শব্দ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
"১৪.১০.২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত পারফর্মার দিলজিৎ দোসাঞ্জের সংগীত অনুষ্ঠানের সময়, বিভিন্ন স্থানে শব্দের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল এবং দেখা গেছে শব্দ দূষণ বিধি, ২০০০ এর অধীনে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। তদনুসারে, পরিবেশ (সুরক্ষা) আইন, ১৯৮৬ এবং শব্দ দূষন নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০০ এর অধীনে ১৬ তারিখের চিঠির মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।" চণ্ডীগড় প্রশাসনের হলফনামায় বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, যে পাবলিক প্লেসের সীমানায় সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবেল (এ) সীমা বজায় রাখা হয়। সেখানে শব্দদূষণের ক্ষেত্রে বায়ুর গুণমানের মান বজায় রাখা সাপেক্ষে অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে তাদের কোনও দ্বিধা নেই।