ছেলে বেদান্ত (Vedaant) সাঁতারু চ্যাম্পিয়ন। ইতিমধ্যেই দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক মেডেল জিতেছেন আর মাধবনের ছেলে। বেদান্তকে নিজের প্যাশন অনুসরণ করতে দেখে বেজায় খুশি অভিনেতা। তাঁর মতো ফিল্মি কেরিয়ার বেছে না নেওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই মাধবনের (R Madhavan)। আর এবার দেশ-বিদেশের সাঁতার প্রতিযোগিতার বিস্তর প্রশংসা কুড়নোর পর আগামী অলিম্পিক্সের (Olympics 2026) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বেদান্ত। আর সেই প্রেক্ষিতেই নিজের সিনেমার কাজ ছেড়ে দিয়ে মুম্বই ছেড়ে সস্ত্রীক দুবাই চলে গেলেন আর মাধবন। একজন বাবা হিসেবে অভিনেতার এহেন আত্মত্যাগের কথা শুনে ধন্য ধন্য করছে নেটদুনিয়া।
২০২৬ সালের অলিম্পিক্সে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন মাধবনের ছেলে বেদান্ত। তার জন্য নিয়ম করে কড়া প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। কিন্তু বাদ সেঁধেছে অতিমারী। কোভিডের জন্য মুম্বইয়ের প্রায় সিংহভাগ সুইমিং পুলই বন্ধ এখন। তাছাড়া, সাঁতার অনুশীলনের জন্য যেরকম বড় পুল ও সুযোগ-সুবিধা দরকার, সেটা মুম্বইতে নেই। অতঃপর বেদান্তের যাতে প্র্যাকটিসে কোনওরকম অসুবিধে না হয়, সেই কথা ভেবেই মুম্বই ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সোজা দুবাইতে চলে গেলেন মাধবন।
<আরও পড়ুন: পানামা পেপার্স মামলা: ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে ইডি-র তলব>
প্রসঙ্গত, বেদান্ত জাতীয় স্তরের সাঁতার চ্যাম্পিয়ন। মাধবন ও তাঁর স্ত্রী তাই ছেলের স্বপ্নপূরণের জন্য কোনওরকম কসরত করতেই বাকি রাখছেন না। বিশ্বের সবথেকে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যেন দেশের নামোজ্জ্বল করতে পারেন বেদান্ত সেই চেষ্টাই তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এপ্রসঙ্গে দক্ষিণী তথা বলিউড অভিনেতার জানিয়েছেন, "মুম্বইয়ের বড় সুইমিংপুলগুলো এখন ব্যবহার করা যাচ্ছে না অতিমারীর জন্য। কড়া বিধিনিষেধও বহাল রয়েছে। তাই বেদান্তকে নিয়ে আমরা দুবাইতে চলে এসেছি, যাতে ওঁর অনুশীলনে কোনওরকম বাধা না আসে। আমি আর আমার স্ত্রী সরিতা সবসময়ে বেদান্তর পাশে রয়েছি। আমার ফিল্মি কেরিয়ারের থেকেও ওঁর স্বপ্নপূরণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।"
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে মাধবন অভিনীত সিরিজ ডিকাপলড। ওদিকে বছর খানেক ধরেই মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে পরিচালনাক হিসেবে মাধবনের ডেবিউ ছবি 'রকেট্রি: দ্য নাম্বিয়া এফেক্ট'। এসবের মাঝেই ছেলে বেদান্তের স্বপ্নপূরণে বড় পদক্ষেপ করলেন অভিনেতা। মুম্বই ছেড়ে দুবাইতে শুফট করলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন