প্রথমে রুপো, আর এবার ভারতের হয়ে সোনা জিতলেন মাধবন-পুত্র বেদান্ত। কোপেনহেগেনে আয়োজিত ড্যানিশ ওপেনের ১৫০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল সাঁতারে রুপো জিতেছিলেন তিনি। সময় ১৫:৫৭:৮৬। সেটা ছিল শনিবারের ঘটনা। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার ৮০০ মিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১৬ বছয় বয়সি বেদান্ত জিতে নিলেন সোনা। যার জন্য পুলে সময় নিয়েছেন ৮.১৭.২৮ মিনিট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের এমন অভিনব কীর্তি শেয়ার করেই আবেগে ভাসলেন বাবা অভিনেতা আর মাধবন।
"এবার সোনা.. আপনাদের সকলের ভালবাসা ও ঈশ্বরের আশীর্বাদে জয়ের যাত্রাপথ আরও সুপ্রসারিত হয়ে চলেছে। আজ ৮০০ মিটারে সোনা জিতেছে বেদান্ত মাধবন। আমি অভিভূত এবং আপ্লুত। কোচ প্রদীপ স্যরকে অসংখ্য ধন্যবাদ", ছেলে বেদান্তের জয়ের মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে এমনটাই লিখেছেন আবেগপ্রবণ বাবা মাধবন।
বিদেশের মাটিতে বেদান্তের এমন সাফল্যে খুশি মাধবনের ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও। কমেন্ট বক্সেই তাঁরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মন্দিরা বেদি লিখলেন, দারুণ ম্যাডি! শুভেচ্ছা তোমাকে। তুমি নিশ্চয়ই ভীষণ গর্বিত। সোফি চৌধুরির মন্তব্য, কী ভালো ম্যাডি। তোমাকে, সরিতাকে এবং সবার উপরে গিয়ে বেদান্তকে অসংখ্য শুভেচ্ছা। পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, প্রিয়া মণি, রোহিত বোস রায়, এষা দেওল, নম্রতা শিরোদকার, শিল্পা শেট্টি, বোমান ইরানি, দর্শন কুমার, আনন্দ এল রাই, সিকান্দর খের, তানিশা মুখোপাধ্যায়ের মতো অনেক তারকারাই।
<আরও পড়ুন: উত্তম-সৌমিত্র ছাড়াও শকুন্তলার ‘রুই ভাপা’র ভক্ত হয়েছেন অনিল কাপুরও>
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসেই মাধবন জানিয়েছিলেন যে, তাঁর ছেলে বেদান্ত ২০২৬ সালের অলিম্পিকসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আর সেইজন্যই বর্তমানে মুম্বই ছেড়ে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুবাইয়ে থাকছেন। ইতিমধ্যেই দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক মেডেল জিতেছেন আর মাধবনের ছেলে। বেদান্তকে নিজের প্যাশন অনুসরণ করতে দেখে বেজায় খুশি অভিনেতা। তাঁর মতো ফিল্মি কেরিয়ার বেছে না নেওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই মাধবনের (R Madhavan)। আর এবার দেশ-বিদেশের সাঁতার প্রতিযোগিতার বিস্তর প্রশংসা কুড়নোর পর আগামী অলিম্পিক্সের (Olympics 2026) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বেদান্ত। একজন বাবা হিসেবে অভিনেতার এহেন আত্মত্যাগের কথা শুনে ধন্য ধন্য করেছে নেটদুনিয়া।
বাবার আত্মত্যাগ বিফলে যে যাবে না, ড্যানিশ ওপেনে বেদান্তের রুপোর পর সোনার পদক জেতা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। কেন বেদান্তের জন্য দুবাইয়ে যেতে হল? এপ্রসঙ্গে দক্ষিণী তথা বলিউড অভিনেতা মাধবন জানিয়েছিলেন, “মুম্বইয়ের বড় সুইমিংপুলগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছিল না অতিমারীর জন্য। কড়া বিধিনিষেধও বহাল ছিল মাস খানেক ধরে। তাই বেদান্তকে নিয়ে আমরা দুবাইতে চলে এসেছি, যাতে ওঁর অনুশীলনে কোনওরকম বাধা না আসে। আমি আর আমার স্ত্রী সরিতা সবসময়ে বেদান্তর পাশে রয়েছি। আমার ফিল্মি কেরিয়ারের থেকেও ওঁর স্বপ্নপূরণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন