রেটিং- ৩/৫
অভিনয়ে - নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, রাধিকা আপ্তে, তিগমংশু ধুলিয়া, শিবানী রঘুবংশী, ইলা অরুণ, নিশান্ত দাহিয়া, স্বানন্দ কিরকিরে, আদিত্য শ্রীবাস্তব, খালিদ তায়াবজি।
টান টান উত্তেজনা। আলো আধারি দৃশ্যে প্রথমেই জোড়া খুন। দেখিয়ে দেওয়া হল খুনিকে। দেহ আগুনে নয়, পোড়ানো হল খুব সম্ভবত সালফার ডাই অক্সাইড। খুনিও আহত হয় তাতে। অবশ্য তার সংলাপে উল্লেখ নেই। চিল চিত্্কার তাঁর। এখান থেকেই শুরু সিনেমা। এরপর টাইম লিপ। এন্ট্রি জটিল যাদব ওরফে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির।
বিয়ের ফুলসজ্যার রাতে বর খুন। ইনি ছিলেন প্রভাবশালী মন্ত্রী। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী (রাধিকা আপতে) ফুলশয্যার রাতেই বিধবা হন। তদন্ত, জেরা, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন জটিল যাদব। বড় হাভেলি, ক্ষমতা দখলের লড়াই, মন্ত্রীরাজ, কমবয়সি স্ত্রী..রহস্যে মোড়া টানটান উত্্কন্ঠা নিয়ে এগোতে থাকে গল্প।
প্রথম থেকেই রাধিকা আপ্তের মধ্যে একটা রাগী মেজাজের প্রকাশ দেখা যায়। যা রহস্যকে তরান্বিত করতে থাকে। জানা যায় বিয়ের আগেই থেকেই তাঁর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল মন্ত্রীর। চলত শারিরিক নির্যাতন। তাহলে দোষী কি রাধিকা আপ্তে? কিন্তু রাধিকার স্পষ্ট জবাব গল্পের মোড় ঘোরাতে থাকে। জানা যায় ,মৃতের ভাইপোর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর। যিনি পরিবারের সম্পত্তি, ব্যবসা সামলাতেন। তাহলে খুনি কে?
পাঁচ বছর আগের জোড়া খুনের সঙ্গে যোগ সূত্র খুঁজতে থাকেন জটিল যাদব। এরমধ্যে চলে আসে রাজনৈতিক চাপ। একের পর এক রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে লড়তে থাকে সে। পরিবারের সদস্যদেরও এক একটি ভিন চরিত্রে দেখা গিয়েছে ছবিতে। তাদেরকে জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, মৃতের ঘরে ও বিবিধ জায়গায় মহিলাদের নগ্ন শরীরের ছবি দেখা যায়। সেখান থেকে জোড়াল হতে থাকে পুলিশের সন্দেহ।
নাওয়াজ নওয়াজউদ্দিনকে এর আগেও পুলিশের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, চ্যালেঞ্জিং এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যায়নি।
আপনি যদি এখনও ছবিটি দেখে না থাকেন নেট ফ্লিক্সে গিয়ে দেখে নিন। হানি তেহেরানের পরিচালনায় আলো আঁধারি দৃশ্যে রহস্যময় গল্প মন্দ লাগবে না। কারণ রহস্য উদঘাটনের পর চমকে উঠবেন আপনি।
Read the full story in English