কবিপ্রণাম তো বাংলার বুকে অনেক হয়। কিন্তু কবির প্রয়াণে এমন সমাবর্তন, আগে যেন দেখা যায় নি শহর কলকাতায়। ২২ শে শ্রাবণ, আপামর বাঙালি জাতির কাছে শোকের, মরমের। এদিন, যে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস। তবে, যিশু সেনগুপ্ত এবং তাঁর দলবল এদিন কবির প্রয়াণ দিবসেও অনন্য এক আয়োজন করেছিলেন।
Advertisment
রবীন্দ্রনাথ, বিশ্বাস করতেন বিয়োগে। জীবনের বাস্তব সত্যের মুখোমুখি হয়েছিলেন বহুবার। কাছের মানুষদের বিদায় জানিয়েছিলেন পুস্পসাজে। তাই, তাঁর প্রয়াণ দিবসকে শোকের মোড়কে নয়, বরং সৃষ্টি এবং আবেগে ভরিয়ে তুললেন যীশু সেনগুপ্ত এবং কলকাতার একঝাঁক শিল্পমহল। গানে, কবিতায়, শ্রুতিনাটকে নজরুল মঞ্চে সে এক অনন্য সন্ধ্যা। গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন যীশু অ্যান্ড দ্যা রেট্রোডিক্সনশ। কে ছিলেন না এই অনুষ্ঠানে? ইমন চক্রবর্তী থেকে শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। সোহিনী সরকার থেকে ইন্দ্রাশীষ রায়, অঙ্কিতা চক্রবর্তী এমনকি শ্রীজাত নিজেও।
অনুষ্ঠানের আয়োজক তো বটেই, তবে এদিন যীশু একজন অভিনেতা নন। বরং ধরা দিলেন, একজন যন্ত্রী হিসেবে। এমনিও ড্রামস এর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের ভালবাসা। ড্রামস বাজাতেই তাঁকে দেখা গেল। শুধু তাই নয়, এও বললেন..সকলকে ধন্যবাদ। আপনারা যে উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের কাজকে সমাদর করলেন, তাতে আমি ধন্য, আপ্লুত। আশা করছি, এমন ২২শে শ্রাবণ আরও হবে।
স্টেজে একের পর এক কবি প্রণাম। রক্তকরবীর একটি অংশ পাঠ করলেন সোহিনী এবং ইন্দ্রাশীষ। অন্যদিকে, শেষের কবিতার নির্দিষ্ট অংশ শোনা গেল, সৌরভ - অঙ্কিতার কণ্ঠে। নিজের গানের মাধ্যমে চারিপাশ জাগিয়ে রাখলেন ইমন। অন্যদিকে, শ্রীজাত... নিজের লেখনীর বুনটে সম্পূর্ন অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখলেন তিনি।