Rachana Banerjee: 'এই বয়সেও আপনি পারেন?' ৯৬ বছরের বৃদ্ধার জীবন যুদ্ধেই বাকরুদ্ধ রচনা, পেলেন মোক্ষম শিক্ষা...
Rachana Banerjee didi no one: ৯৬ বছরের এই দিদার গল্প শুনে তাঁর চক্ষু ছানাবড়া। অভিনেত্রী যেই মুহূর্তে শুনলেন যে ১০ বছর বয়স থেকে তিনি বাবার সঙ্গে থেকে থেকেই সব কিছু শিখে নিয়েছেন, তাঁর প্রতিভাকে কুর্নিশ জানালেন রচনা।
৯৬ বছর বয়সে কী করে পারছেন এসব? দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এলেন এক দিদা। তাঁর গল্প শুনে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর কে পায়। এখন অল্পেই মানুষের অবস্থা কাহিল, সেখানে ৯৬ বছর বয়সে এত স্পিরিট! বিশ্বাসই করতে পারলেন না রচনা।
Advertisment
দিদি নম্বর ওয়ান সবসময় বাংলার সেসব দিদিদের গল্প বলে, যারা নিজেদের লড়াইয়ের মাধ্যমেই জায়গা তৈরি করে এসেছেন। আর তাদের গল্প শুনেই যে বাঁচার আর অনুপ্রেরণা পান রচনা বন্দোপাধ্যায়। ৯৬ বছরের এই দিদার গল্প শুনে তাঁর চক্ষু ছানাবড়া। অভিনেত্রী যেই মুহূর্তে শুনলেন যে ১০ বছর বয়স থেকে তিনি বাবার সঙ্গে থেকে থেকেই সব কিছু শিখে নিয়েছেন, তাঁর প্রতিভাকে কুর্নিশ জানালেন রচনা।
প্রতিযোগী শান্তিলতা দত্তের কথায়, তিনি একসময় নিজেই তিনটে দোকান করেছিলেন। সব কিছু হিসাব রাখেন। কত বস্তা চল এল, কত কী বিক্রি হল সবটাই নজরে রাখেন তিনি। এমনকি মাল নিজে হাতে তুলেও দেন। সকাল থেকে পরিশ্রম করেন। ৯৬ বছর বয়সে এত কিছু করেন শুনেও যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলেন না তিনি।
রচনা যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন আজও এত পরিশ্রম করেন? তখন তিনি উত্তর দেন, এখন আর এত না করলেও পাঁচতলা ওঠা নামা করেন। বিকেল হতেই টিভি দেখতে বসে পড়েন। আর বাড়ির সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে খান। যদিও, রচনা আঁতকে ওঠেন যেই তিনি বলে বসেন, এখন তো অনেক বয়স হয়েছে তাই আর দৌড়াতে পারেন না।
এই কথা শুনেই তো রচনার চোখ কপালে। "এই বয়সে আপনি দৌড়াবেন? আমি তো হাঁটার কথা বলছি। আপনি পারেন কী করে?" তিনি মোক্ষম কিছু শেখালেন রচনাকে। বললেন, সবসময় মনে রেখো, "বল বল বাহুবল, জল জল গঙ্গাজল।"