তিনি আসলেই যে দিদি নাম্বার ওয়ান, এ কথা আরো একবার প্রমাণ করলেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন শুধু অভিনেত্রী নয়, বরং এক বিরাট গুরুদায়িত্ব রয়েছে তার কাঁধে। হুগলি জেলার সাংসদ তিনি। স্টেজে সঞ্চালনা করা ছাড়াও নিজের লোকসভা কেন্দ্র পরিদর্শনেও বেশ সক্রিয়।
আর আজ তো হুগলি জেলার পান্ডুয়ায় হাল হকিকত জানতে এসেছিলেন রচনা। হঠাৎ করে সারপ্রাইজ ভিজিটে যান সাংসদ। সেখানে পৌঁছেই প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতাল, তারপরে প্রাইমারি স্কুলে হাজির হন। শুধু যে স্কুলে গেলেন এমনটাই নয়, বরং অভিনেত্রী এবং সংসদের তকমা ঝেড়ে ফেলে শিক্ষিকা হয়ে উঠলেন তিনি।
একে একে পড়ুয়াদের বানান জিজ্ঞাসা করলেন। 'যাত্রা' বানান কী? 'ভগবান' বানান কী? রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করছেন, তখন খন্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার প্রত্যেকটি উত্তর সঠিকভাবে দিচ্ছেন। তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেত্রী। সকলকে বললেন, ওরা খুব 'ভালো ছেলে'।
আরও পড়ুন - Dimple Kapadia: ‘ওখানে ভিড়, আপনি কি আমার হাত ধরবেন?’, রাজেশকে বিয়ে করে স্বপ্নভঙ্গ হয় ডিম্পলের
এখানেই শেষ নয়। অভিনেত্রী প্রথম এগিয়েছিলেন পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতা দেখে ক্ষুব্ধ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার চিকিৎসক মহলে নিজের ক্ষোভের কথা জানান তিনি। এমনকি বেশ কিছু নির্দেশও দেন। এরপরে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। স্কুলটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি, হুগলি জেলার সাংসদ এমনটাই জানান, যে আরও অতিরিক্ত ঘরের প্রয়োজন আছে।
পাশাপাশি তার বক্তব্য ঠিক এমনই ছিল, "সরকারি স্কুলেও পড়াশোনা ভালো হয়। এটা যাতে ভালো করে বজায় থাকে, সেটাই দেখা উচিত।" উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন অভিনয় এবং স্টেজ সঞ্চালনা করার পর, ২০২৪ সালের লোকসভায় প্রথমবারের মতো রাজনীতির ময়দানে হুগলির প্রাক্তন সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিপুল ভোটে জয়ীও হন।