রাজনীতির ময়দানে কি শুধু গালাগালি, একে অপরকে তুলোধোনা এসবই করা হয়? নিশ্চয় না! হুগলি জেলার দুই তারকা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ( Locket Chatterjee ) এবং রচনা বন্দোপাধ্যায় ( Rachna Banerjee ) জানালেন একসময় তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল দেখার মত।
একসঙ্গে অনেক ছবিতে তাঁরা কাজ করেছেন। ফলেই সেই সময়গুলো যেন অন্যরকম ছিল তাদের কাছে। বেশিরভাগ ছবিই ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ( Prosenjit Chatterjee ) এর সঙ্গে। আরও তারকারা উপস্থিত থাকতেন। ফলেই আড্ডা হত চুটিয়ে। দুজনেই, সমানতালে হুগলি জেলার নানা অংশে প্রচার করছেন। তাঁরই মাঝে সেসব দিনের কথা উল্লেখ করছেন।
রচনা লকেটের সঙ্গে যত ছবি করেছেন সেগুলো সবই ভাল স্মৃতি। তাই তো তিনি বলেন, দুজনে অনেক ভাল ছবি করেছি। আজও একসঙ্গে বসলে আমাদের কথা শেষ হবে না, রাত গড়িয়ে যাবে। আউটডোর শুটিং থাকত তাঁদের। ফলেই, সেসব সময় ছিল নিদারুণ সুন্দর মুহূর্ত। রচনা বললেন, পাঁচ থেকে ছয়জন শিল্পী, লাবনী সরকার, রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সবাই থাকতেন। এমন আড্ডা হত যে বুম্বা দা হয়তো হারমোনিয়াম বাজাচ্ছে। আমি তবলা বাজাচ্ছি আর লকেট গান গাইছে। সেই স্মৃতিগুলো খুব ভাল। ওগুলোই লকেটের সঙ্গে আমার ভাল মুহূর্ত। সেগুলোই মনে রাখতে চাই।
আরও পড়ুন - Rachana Banerjee: ‘ওই গাছের নিচেই তো সব করেছি..’, অভিজ্ঞতা ভাল নয়? আড়ালে হাসলেন রচনা
এখানেই শেষ না। রচনার স্মৃতিমেদুর কথা শুনে চুপ থাকতে পারলেন না লকেট নিজেও। তিনিও পাল্টা বললেন, আমি রাজনীতির বাইরে সকলের কাছে শুধু লকেট। তাঁরা আমার বন্ধু। আমি তাদের কাছে সংসদ না। ওদের সঙ্গে দারুণ গল্প হত। হাসি ঠাট্টা লেগেই থাকত। দশ বছর অভিনয়ের জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। জানি না কাল কী হবে। যোগাযোগ কমে গেলেও স্মৃতিটা হয়তো একই আছে। আমি চাই, যেন ব্যক্তিগত জীবনে রাজনীতির আঁচ না পরে।
রাজনীতির ময়দানে একের সঙ্গে অন্যের বিচারধারা না মিললেও বাস্তবে তারা পরস্পরের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখবেন - এমনই উল্লেখ করলেন। শুধু তাই নয়, লকেট এও বলেন, মতাদর্শ চিন্তাভাবনা আলাদা হতেই পারে। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি, এর বেশি কিছুই না।