Didi No One-Rachana Banerjee: হু হু করে কোমল টিআরপি। দিদি নম্বর ওয়ান যেই শো এতবছর ধরে মানুষের মনোরঞ্জন করে আসছে, সেটা নিয়েই এবার শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে এই শো চলছে। তাঁর পাশাপাশি, এই শোয়ের জনপ্রিয়তা কমার নয়।
কিন্তু বর্তমানে এই শোয়ের টিআরপি কমেছে। এতটাই, মারাত্মক মাত্রায়, যে আতঙ্ক হওয়ার মতো। বাংলার দিদিদের সুখ দুঃখের গল্প, বলা হয় এই শোয়ে। তাঁর সঙ্গে তারকা দিদিরাও আসেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এসেছিলেন এই শোয়ে। সেই শোয়ের টিআরপি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
কত কমেছে টিআরপি?
জানা যাচ্ছে, সপ্তাহের দিদি নম্বর ওয়ান পেয়েছে, ২.১। অন্যদিকে রবিবারের স্পেশ্যাল দিদি নম্বর ওয়ান পেয়েছে ৪ রেটিং। অভিনেত্রী সমাজ মাধ্যমে চর্চায় থাকেন নিজের মন্তব্যের কারণে। বিশেষ করে, দিদি নম্বর ওয়ান হিসেবেই তিনি পরিচিত। বাংলা ছাড়াও, বিহার - উড়িষ্যার বুকেও রচনা তুমুল জনপ্রিয়। তাহলে কারণ কী?
এই সিজনে দিদি নম্বর ওয়ানের প্লট, খেলার ধরণ পাল্টেছে। কিন্তু, রচনা বন্দোপাধ্যায়ের দায়িত্ব এখন বিরাট। কারণ, তিনি হুগলি লোকসভার সংসদ। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। কিন্তু, রচনা যে রোষানলে পড়েছেন সেকথা অস্বীকার করা যায় না। রাজনীতিতে যোগ দিতেই রচনার একেকটি মন্তব্য, ভাইরাল হতে শুরু করে। তারপর শুরু হয়, সমালোচনা ও টিপ্পনি।
রচনার রাজনীতিতে যোগ কি তবে বিরাট ক্ষতি করে দিল এই শোয়ের? বেশিরভাগের ধারণা একেবারেই তাই। কারণ, যে তারকা এত ভালবাসা পেয়ে এসেছেন, তাঁর আবার নতুন করে রাজনীতিতে জড়ানোর বিষয়টিকে অনেকেই ভালভাবে দেখেননি। তাঁর মধ্যে শাসকদলের সদস্য তিনি। বর্তমান রাজ্য পরিস্থিতি ঠিক কেমন, সেকথা বলে বোঝানোর নেই। সেই কারণেই আবার প্রভাব পড়ছে না তো?
উল্লেখ্য, দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চ একসময় সামলেছেন জুন মালিয়া এবং দেবশ্রী রায়। তাঁর পাশাপাশি, রচনার বাবা মারা যাওয়ার পর কিছুদিন অন্য সঞ্চালককেও দেখা যায়।