Rachana Banerjee-Maha Kumbh: গত মাসের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভ মেলা। এবং, এই মাসের ২৬ তারিখ অর্থাৎ মহা শিবরাত্রির দিন শেষ হবে এই মহাউৎসব। তারকাদের অনেকেই, কুম্ভ মেলায় গিয়েছিলেন পুণ্য স্নান কিংবা শাহী স্নানের জন্য। শুধু এ দেশের তারকারা নয় বিদেশ থেকেও বহু মানুষ এসেছেন নিজেদের পুণ্য অর্জন করতে। সঙ্গমে ডুব লাগিয়ে আবেগতাড়িত তারা।
কিন্তু এ বছর কুম্ভ মেলা নানা ঘটন ঘটছে। কখনো ঘটছে ভয়ংকর পদপৃষ্ঠের ঘটনা, আবার কখনো আগুন লেগে ছারখার হয়ে যাচ্ছে চারিদিক। যেখানে এত মানুষের সমাগম সেখানে তাদের প্রাণের সুরক্ষা নিয়ে আনার প্রশ্ন উঠছে। পুণ্যার্থীদের অনেকেই যোগী সরকারকে তুলধোনা করেছেন। কিন্তু বাংলার অভিনেত্রী এবং সংসদ রচনা বন্দোপাধ্যায় তিনি কুম্ভ মেলায় ডুব লাগিয়ে মনের দিক থেকে বেশ শান্তি পেয়েছেন।
দিল্লিতে সংসদ অধিবেশন চলছে। সেকারণেই, নিজের ভাবনা মতোই প্রয়াগরাজে গেলেন তিনি। অভিনেত্রী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ভেবেই রেখেছিলেন ২ তারিখ যাবেন কুম্ভে, তাই কথা মতোই কাজ করে ফেললেন। দিল্লি থেকেই রওনা দিলেন সেখানে। পরনে গেরুয়া রঙের পোশাক, ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব লাগিয়ে তাঁর অনুভূতি ঠিক কেমন? অভিনেত্রী রাখঢাক না করেই সোজা সাপটা ঘটনা জানিয়েছেন। একদিকে যেমন পদপিষ্ট ঘটনায় মারা গিয়েছেন বহুমানুষ। বাংলার প্রচুর মানুষ খুঁজে পাননি তাঁদের হারিয়ে যাওয়া পরিবারকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র নিন্দা করেছেন এই ধরনের ব্যবস্থাপনার। কিন্তু না...
রচনা বন্দোপাধ্যায় সেখানকার ব্যবস্থা দেখে মুগ্ধ। কাতারে কাতারে মানুষ যেভাবে সুযোগ এবং সুবিধা পাচ্ছেন সেখানে, এই দেখেই তিনি আপ্লুত। অভিনেত্রী মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলছেন, "দারুণ অভিজ্ঞতা হল। ব্যবস্থাপনা দেখার মত, এর তুলনা হয় না। দুর্ঘটনা তো আগে থেকে বোঝা যায় না। সেটা আকষ্মিক ঘটেছে। কিন্তু, আয়োজকদের কুর্নিশ। এত মানুষের থাকার ব্যবস্থা থেকে শৌচাগার, জলে নেমে যেন কেউ ডুবে না যান, সেই ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, সরকার আরও তৎপর এই দুর্ঘটনার পর।" এ তো গেল ব্যবস্থা, নিজের মনের অনুভূতি ঠিক কেমন?
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, "ত্রিবেণী সঙ্গমে এসে পিতৃপুরুষকে জল দিতে পেরেছি, এর থেকে ভাল অভিজ্ঞতা আর কী হতে পারে। স্নানের সময় বাবার কথা ভেবে মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠল। ১৪৪ বছর পর এই মহা কুম্ভ। সেখানে বাবার জন্য প্রার্থনা করতে পেরেছি, আর কী চাই?" একথা অনেকেই জানেন, বাবাকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বেশ কিছুদিন কাজ থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন। আর এখানে গিয়েও বাবার কথা মনে পড়তেই চোখে জল এল তাঁর। তবে, তিনি সাফ জানিয়েছেন সংসদ কিংবা তারকা বলে বাড়তি কোনও সুবিধা পাননি তিনি। বরং, হেঁটে ঢুকতে হয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে কিছুই এখানে সম্ভব না। শুধু একটাই, তিনি জলপথে গিয়েছেন কারণ অতটা হাটা সম্ভব না। তবে, যারা হাঁটছেন তাঁদের সুরক্ষার কমতি নেই।