মধুরেণ সমাপয়েত! পদ্মাপাড়ের মিথিলা এখন সৃজিত ঘরণী। হঠাত্ করেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ঠিক তেমনই আচমকাই প্রকাশ্যে এল তাদের রূপকথার গল্প। মানে চৈত্রে দাবদাহেই বসন্ত এসে গেছে, আর এসেছে তাদের বিবাহ ডায়েরি।
লকডাউনে নিজ নিজ দেশে গৃহবন্দী। করোনার আতঙ্কের মাঝেও প্রেমের প্রদীপ ঠিক জ্বালিয়ে রেখেছেন সৃজিত-মিথিলা। এদিন বিয়ের ভিডিও পোস্ট করে সেরকমই ইঙ্গিত দিলেন কী মুখার্জি কমিশন! তবে সম্পূর্ণ রূপকথার গল্পের মতোই সাজিয়েছেন তাদের প্রেমের কাহিনি।
প্রাসাদোপম অট্টালিকার সামনে এসে থামল পালকি। সৃজিতের কথায়, ''আমাকে আমার মতো থাকতে দাও বলার দিন শেষ।'' তাদের ইতিহাস, উতসব, সংস্কৃতি ভিন্ন, কিন্তু মন সে বাধা মানেনি। তাদের বিয়ের ভিডিও লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন রয়েছে তবে চিত্রনাট্যটা এখানে জীবন।
আরও পড়ুন, ‘বাংলার মধ্যবিত্ত দিনআনি মানুষের কথাও একটু ভাবুন’, আর্জি মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে
পাত্র-পাত্রীর ভয়েস ওভার এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য দিয়েই সুন্দর করে সাজানো বিয়ের ভিডিও। যেখানে সৃজিত বলছেন, ''নৌকার পালে চোখ রাখতে অবশেষে বিয়েটা করেই নিলাম। এখন সৃজিত-মিথিলা এক রাস্তায় ট্রাম লাইন, এক কবিতায় কাপলেট।'' আবার মিথিলার কণ্ঠে শোনা গেল, ''প্রেম কেবলই একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া কি না জানিনা! তবে ল্যান্ডফোনের দিনগুলোর মতোই সুন্দর।''
আপাতত করোনার জেরে দুজন দুইদেশে। সৃজিতকে মিস করছেন মিথিলা। তা জানান দিতে সোশাল মিডিয়াই বেছে নিয়েছেন তিনি। টুইটকে লিখছেন, "প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন