একরত্তি এক খুদের জনপ্রিয়তা যে এত? সেকথা জানা ছিল? নিশ্চয়ই না! আলিয়া এবং রণবীর, সিল্ভার স্ক্রিনের দুই মহারথী। আর তাঁদের কন্যা সন্তান যেন সব লাইমলাইট নিজের দায়ত্বে কেড়ে নিয়েছেন। দুই বছরের মিষ্টি বাচ্চাটিকে যেমন নেটপাড়া পছন্দ করেন, তেমনই পাপারাজ্জিরা। বলা উচিত, আলিয়া এবং রণবীর মেয়েকে বড় করতে কোনও রাখঢাক করেননি।
রাহার জন্মের একবছর পরেই গোটা দুনিয়ার সামনে তাঁকে হাজির করেন রণলিয়া। কিন্তু, শেষ কিছুদিনে পুঁচকে রাহার জনপ্রিয়তা আরও তুঙ্গে। যখনই সে বাবার সঙ্গে বা মায়ের সঙ্গে বের হয়, সমস্ত ক্যামেরা তাঁর ওপর ফোকাস থাকে। আর ছোট্ট রাহার মিষ্টত্ব সবসময় টক অফ দ্যা টাউন। তাঁর থেকেও বড় কথা সে যে আদ্যোপান্ত বাবার রাজকন্যা, একথাও সকলে জানেন।
বাবার কোলে থাকলেই তাঁর হাসি এবং চোখের উজ্জ্বলতা দেখবার মতো হয়। এবারও বড়দিন উপলক্ষে যখন হাসিমুখে বাবার কোল থেকেই সে মেরি ক্রিসমাস উইশ করে বসেন পাপারাজ্জিদের উদ্দেশ্যে, সেই ভিডিও মন কেড়ে নেয় বেশিরভাগের। এমনকি, তারপর তাঁর হাত নাড়িয়ে টাটা বলা এবং ফ্লাইং কিস - কপুর খানদানের এই সন্তান যে একদম অন্যরকম সেই প্রশংসাও দেখা যায়।
আর গতকাল রাতে, যখন বাবা-মায়ের সঙ্গে সে এয়ারপোর্টে। তখন আবারও তাঁর প্যাপ্স বন্ধুদের দেখে আনন্দে আত্মহারা সে। মায়ের কোলে তখন এদিক ওদিক ঘুরে দেখতে সে ব্যাস্ত। আর যেই শুনলেন সবাই তাঁকে টাটা বলছে, সেও গলা জোর করে শুধু যে হাই বলল এমন না, বরং আবারও ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিল ভালবেসে। আর মেয়ের এই কাণ্ড দেখে আলিয়া রণবীরের কী প্রতিক্রিয়া?
মেয়েকে হাসি মুখে হাই বলতে দেখে, তাঁরা দুজনে হেসে খুন। রণবীর এবং আলিয়ার আনন্দ দেখে কে। বিশেষ করে আলিয়া। মেয়ের সঙ্গে প্যাপ্সদের বন্ধুত্ব দেখে তিনি যে কী বলবেন ভেবে পেলেন না। আর ফ্লাইং কিস দেখে তো, তিনি অবাক। অতঃপর, নিজেও সবাইকে বাই বললেন। আর রাহার এই স্বভাব নেটপাড়ার মন জিতেছে একথা বলাই বাহুল্য। তাঁদের কথায়...
করিনা কাপুরের ছেলেদের আচরণ একদম খারাপ, সেখানে রাহা বড্ড ভাল। আবার কেউ বললেন, এত কিউট কেউ কী করে হতে পারে? আবার কারওর কথায়, এই প্রথম কোনও স্টারকিড তাঁর মতো। আগে দেখিনি। আবার কারওর কথায়, মা বাবার ভাল গুণ এসেছে ওর মধ্যে।