স্টুডিওপাড়া আজ ফাঁকা। সকাল থেকে নেই কোনও আওয়াজ। বসেনি মনিটর, ঘুরছে না ক্যামেরা। টেকনিশিয়ান এবং পরিচালকদের দ্বন্দ্বে বিনোদন দুনিয়া আজ অন্য কিছু দেখছে। আজ বেশিরভাগ পরিচালকরা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
রাজ চক্রবর্তী থেকে গৌতম ঘোষ, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়, দেবালয় ভট্টাচার্য থেকে হরনাথ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী এবং অনেকেই গিয়েছিলেন বৈঠকে। সেখান থেকেই তারা নিজেদের নানা বক্তব্য রাখেন। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক এবং KIFF এর চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ বলেন, "এটা আমাদের রুজি রুটির জায়গা। এখানে, বিরোধের জায়গা নেই। টলিউডে কাজের প্রতি শুধু ডিগনিটি দরকার। মুখ্যমন্ত্রী সবসময় পাশে থেকেছেন। পরিচালকদের সঙ্গে টেকনিশিয়ানদের সংঘাত রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেটা আসলে সত্যি ঘটনা নয়।"
পরবর্তীতে ফড়িং ছবির পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী বলেন, "আমাদের টলিউড ইন্ডাস্ট্রির কাজ করার জায়গা সংকুচিত। নানা ভাবে ইন্ডাস্ট্রি ঘিরে ফেলা হচ্ছে। নানা নিয়মের জট দেখিয়ে আজ শুধু রাহুল নয়, এর আগেও অনেক পরিচালকদের সঙ্গে নানা কিছু হয়েছে। আপনারা দেখে থাকবেন টালিগঞ্জে কাজের জায়গা কমে গিয়েছে। বিনিয়োগ কমে গিয়েছে। রাহুলকে নিয়ে আমরা আজ এক হয়েছি। কিন্তু, এইসব পুরোনো নিয়ম নিয়ে ভাবা উচিত।"
আরও পড়ুন - Tollywood – Prosenjit Chatterjee: ‘এটা মান-সম্মানের লড়াই…’, পরিচালকদের বৈঠক শেষে বললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
অন্যদিকে আরেক পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা চাইছি কাল থেকে যেন শুটিং শুরু হয়। শুনেছি টেকনিশিয়ানদের অনেকেই আজ চারটে নাগাদ জড়ো হয়ে আলোচনা করবেন। আমরা আশা করব তাঁরা একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু, এটুকু বলতে পারি, আমরা পরিচালকরা কিন্তু টেকনিশিয়ান- ই। আমাদের নিজেদের থেকে আলাদা করবেন না। দুপক্ষে একসঙ্গে বসে আশা করছি সব মিটে যাবে।"
অন্যদিকে, রাজ চক্রবর্তী নিজেও এই বিষয়ে বেশ ভারাক্রান্ত। পরিচালক জানান, "আশা করছি সবাই আমাদের সবটা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের ভেতরে কী চলছে, সেটা সকলের সামনে। আজ রাত আটটার মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব বলে আশা করছি।"