Advertisment

Happy Birthday R. D. Burman: জন্মদিনে সুরেলা শ্রদ্ধার্ঘ

Rahul Dev Burman 79th Birth Anniversary: সুরের বাঁধনে বেঁধেছেন আপামর ভারতীয়কে। মনের মণিকোঠায় আজও মানুষ এই ব্যক্তিত্বকে সযত্নে জিইয়ে রেখেছেন। জন্মদিনে তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমেই শ্রদ্ধা জানানো দেশের প্রবাদপ্রতীম সুরকারকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

Rahul Dev Burman's 79th Birth Anniversary Today. Express archive photo

Rahul Dev Burman 79th Birth Anniversary: প্রবাদপ্রতীম সুরকার, অনন্য ব্যক্তিত্ব, এই সবকিছু ছাপিয়ে তাঁর সৃষ্টি বারবার সামনে এসেছে। ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক পেছনে ফেলে গানের জগতে বিখ্যাত এক নাম শচীন দেব বর্মণের পুত্র রাহুল দেব বর্মণ। সঙ্গীতপ্রেমীদের মনের অন্দরে আজও ঘর করে পঞ্চমের সুর। আজ তাঁর ৭৯ জন্মদিনে বেছে নেওয়া পঞ্চমের সুরের জাদুবেষ্টিত জনপ্রিয় দশটি গান:

Advertisment

১. মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে (পড়োসন, ১৯৬৮)

আর.ডি. বর্মন এবং কিশোর কুমারের যুগলবন্দী সবসময়ই ঝড় তুলেছে বলিউডের সঙ্গীতমহলে। 'পড়োসন' ছবির 'মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে' গানটি তার একটি উদাহরণ। রাজেন্দ্র কৃষাণের কথায়, আর ডি বর্মণের সুরে এই গান আজও জনপ্রিয়। আর ডি-র কম্পোজ করা মান্না দে এবং কিশোরের গলায় এই ছবিরই 'এক চতুর নার' গানটিও সমান পপুলার শ্রোতাদের কাছে।

২. দম মারো দম (হরে রাম হরে কৃষ্ণ, ১৯৭১)

আশা ভোঁসলের কণ্ঠে 'দম মারো দম' পরিবর্তন এনেছিল জিনাত আমানের ভাবমূর্তিতে। আর ডি যে যুগের থেকে এগিয়ে ভাবতেন, সেটা আজ আর বলে দিতে হয় না। হিপ্পি সংস্কৃতির ভারতীয়-করণের এই গান তাঁর সেরা কাজের অন্যতম।

৩. পিয়া তু, আব তো আজা (ক্যারাভান, ১৯৭১)

হেলেন, আর ডি বর্মণ আর আশা ভোঁসলে। তাঁর অনন্য গানের রচনায় এই দুটি নাম বারবার এসেছে। হেলেনের নাচ, আশার কণ্ঠ, এবং আর ডি বর্মণের সুরের নতুনত্ব শ্রোতা-দর্শকের কান অনেকটাই তৈরি করে দিয়েছিল।

8. চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিল কো (ইয়াদো কি বারাত, ১৯৭৩)

গিটার হাতে জিনাত আমান, আবার স্টিরিওটাইপ ভাঙলেন আর ডি। আশা ভোঁসলের গলায় মঞ্চ মাতালেন 'চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিল কো' গানের সুরে। 'ইয়াদো কি বারাত' ছবির টাইটেল ট্র্যাকও আরএকটি মাইলস্টোন কাজ কিশোর-পঞ্চমের।

৫. মেহবুবা (শোলে, ১৯৭৫)

'শোলে' আজও এত যে বিখ্যাত, তার কারণ কিন্তু শুধু ঠাকুর বা গব্বর সিং নন। সমান ভাগীদার আর ডি বর্মণও। তখনকার সময়ে আইটেম নাম্বার যে এত অর্থবহ হতে পারে তা বোধহয় আর ডি-র সুর আর আনন্দ বক্সীর কথায় এই গান তৈরি না হলে কেউ ভাবতেন না। এছাড়াও কিশোর কুমার-মান্না দের গাওয়া 'ইয়ে দোস্তি'র কথা কার না মনে আছে!

৬. তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোয়ি (আন্ধি, ১৯৭৫)

শুধু ফিউশন নয়, ভারতীয় সঙ্গীতেও সমান যাতায়াত ছিল শচীন তনয়ের। 'আন্ধি' ছবির গান তাঁর সেই পারদর্শীতাকে সামনে আনে। কেবল আশা, কিশোর বা মান্না দে নয় - লতা, গুলজারের সাহচর্যও 'তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোয়ি', 'তুম আ গায়ে হো'-র মতো গানের জন্ম দিয়েছিল।

৭. তুম সাথ হো জব আপনে (কালিয়া, ১৯৮১)

হিন্দি ছবির রোম্যান্টিক গান মানেই তো আশির দশক। আর সেখানে আর ডি। এ তো সহজ সমীকরণ। তাই 'কালিয়া' ছবিতে পারভিন ববি এবং অমিতাভ বচ্চনের রসায়ন জমেছিল এই গানেই। কিংবা 'ঘর' ছবিতে গুলজারের লেখায় 'তেরে বিনা জিয়া যায়ে না' - রেখার সৌন্দর্য্য, অভিনয়কে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিল লতা মঙ্গেশকরের গলায় আর ডির এই কম্পোজিশন।

৮. প্যায়ার হমে কিস মোড় পে লে আয়া (সত্তে পে সত্তা, ১৯৮২)

আর ডি, কিশোর কুমার, ভূপিন্দর সিং, স্বপন চক্রবর্তী, গুলশন বাওরা - এতগুলো পাকা গলার খেলা এই গান। হিট না হয়ে উপায় আছে? এই ছবিরই 'জিন্দেগি মিলকে বিতায়েঙ্গে' বা 'সত্তে পে সত্তা' গানগুলি আজও আনন্দের সঙ্গে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

৯. তুঝসে নারাজ নহি জিন্দেগি (মাসুম, ১৯৮৩)

'মাসুম' ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গানটি ছবির চরিত্রদের সমীকরণ স্পষ্ট করেছিল। সেই সঙ্গে গুলজারের কথায় পঞ্চমের এই গান আজও শ্রোতাদের ইমোশনের কোনও অজানা লক্ষ্যে নিয়ে যায় নিমেষে। শুধু এই গান নয়, নাসিরউদ্দিন ও শাবানা আজমি অভিনীত এই ছবির একের পর এক গান হিট: 'হুজুর ইস কদর' হোক বা ছোটদের 'লকড়ি কি কাঠি'।

১০. রুঠ না জানা (১৯৪২: আ লাভ স্টোরি)

সত্তরের দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের জমানা পর্যন্ত, আর ডি-র করিশ্মা সমানভাবে অব্যাহত। আর তার প্রমাণ '১৯৪২: আ লাভ স্টোরি'। 'রুঠ না জানা' তো বাহানা মাত্র, এই ছবির প্রত্যেকটা গান সমানভাবে ঘর করেছিল শ্রোতাদের মনে। 'এক লড়কি কো দেখা তো', 'কুছ না কহো', 'রিম ঝিম রিম ঝিম', এই প্রত্যেকটা গানের জন্য আজও সুপারস্টার অনিল কাপুর। যার প্রায় বেশিরভাগ কৃতিত্বই পঞ্চমের।

R. D. Burman
Advertisment