নভেল করোনাভাইরাস রুখতে গৃহবন্দী দেশে নানারকম উপায়ে নিজেদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেলেবরা। রান্না থেকে জিম কিংবা ছবি আঁকা, নাচ-গান, লকডাউনে কম ব্যস্ত নন তারকারা। এমনকী অনুরাগীদের ব্যস্ত রাখতেও তাঁদের জন্যও রাখছেন প্রতিযোগীতা এবং চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু এখানেই আলাদা সেন-কন্যা। লকডাউনে আস্ত রেজিলিউশনই নিয়ে নিয়েছেন রাইমা সেন। সারা জীবনে জিমে এতটা সময় কাটাননি যতটা সময় এখন দিচ্ছেন এমনটাই মত তাঁর। শুধু ওয়ার্কআউটের ছবি দিয়েই ভরিয়ে তুলছেন না সোশাল মিডিয়া। পাশাপাশি রেখেছেন কিছু পুরোনো না দেখা ছবিও।
View this post on Instagram
আরও পড়ুন, লকডাউনে হটস্পট বসিরহাটে শুটিং! বিক্ষোভের মুখে কলাকুশলীরা
এমনকি এই একঘেয়ে লকডাউনের জীবনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন তিনি ফ্যানদের সঙ্গে তাও শেয়ার করে নিচ্ছেন অভিনেত্রী। আর তাঁর শেয়ার করা সেই সব ফোটোতেই ইনস্টা ভরেছে ‘সেন-সেশনে’। প্রতিটি ছবিতেই লাইক, কমেন্টের বন্যা বইছে। নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে দিয়েছেন ছোটবেলার ছবিও।তবে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের এই অতিমারীত্বের নেপথ্যে তিনি মানুষকেই দায়ী করেছেন। তাঁর মতে দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃতির উপর আমরা সকলে যে অত্যাচার চালিয়ে এসেছি এটা তাঁরই প্রতিক্রিয়া।
View this post on Instagram
আরও পড়ুন, মন খারাপ হলেই ইরফান শুনতেন এই রবীন্দ্রসঙ্গীত, শেয়ার করলেন সুতপা
মুনমুন কন্যা বলেন, “আমরা সবকিছুকেই নিজের মতো করে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এই লকডাউন আমাদের সেই জায়গাটাকেই দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই মুহুর্তে আমরা সম্পর্কে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি, তাঁর মূল্যায়ণ করতে শিখছি। এখন প্রত্যেকের একটাই প্রার্থনা বিশ্ব যেন করোনা মুক্ত হয়। আর এই একটাই স্বপ্ন আমাদের আবার এক হতে শিখিয়ে দিচ্ছে।”
অনুরাগী থেকে সকলের কাছেই রাইমা আবেদন করেছেন নিয়ম মেনে এই করোনা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার। তিনি বলেন, “একমাত্র বাড়িতে থেকেই এক সংক্রমণকে রোখা সম্ভব। আর বাইরে একান্ত যেতে হলে ঘরে বানান মাস্ক পড়ুন।” এমনকী স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের প্রয়োজনের জন্য এন৯৫ মাস্ক এবং সার্জিকাল মাস্ক কম ব্যবহার করে বাড়িতে বানান মাস্কের উপরই জোর দেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন