সারা রাজ্য জুড়ে তোলপাড়। মেয়েরা নিজেদের অবস্থান এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাস্তায় নেমেছে। তারা রাত দখলের পাশাপাশি মেয়েদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার চাইছে। তাঁর পাশাপাশি টলিউডে যৌণ হেনস্থা নিয়েও শুরু হয়েছে ভয়ঙ্কর কান্ড।
নায়িকাদের মধ্যে শ্রীলেখা মিত্র এবং ঋতাভরী চক্রবর্তী দুজনেই অভিযোগ জানিয়েছেন। ঋতাভরী তার মধ্যে বলেছেন, টলিউডের অনেক পরিচালক এবং হিরোই মুখোশের আড়ালে রাক্ষস। তাঁরা মেয়েদের রক্ত মাংস ছাড়া কিছুই ভাবে না। এদের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্যই ঋতাভরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। চারপাশে নারীরা যেভাবে হেনস্থা এবং যৌন লালসার শিকার হচ্ছে, তাতে এবার আওয়াজ তুলেছেন রাইমা সেন।
রাইমা, টলিউডের যৌন নিগ্রহ নিয়ে বলতে গিয়েই, জানান, "আমার মনে হয় এটা সব ইন্ডাস্ট্রিতে হয়। যদিও আমি এরকম কিছুর সম্মুখীন হয়নি, কিন্তু আমার মনে হয় এটা ঘটে।" গোটা সমাজের এমন কোন সেক্টর নেই, যেখানে মেয়েদের সঙ্গে খারাপ আচরণ হয় না। সে অভিনেত্রী হোক কিংবা ডাক্তার, কিংবা কোন সাধারণ মানুষ, মেয়েদের তাচ্ছিল্যের পাশাপাশি আরো কত কিছু সহ্য করতে হয়, কথা অনেকেরই অজানা।
যদিও ইন্ডাস্ট্রি বুকে যৌন-নিগ্রহের বিষয়টি সবার প্রথম, প্রকাশ্যে আনেন শ্রীলেখা মিত্র। অভিনেত্রী, অভিযোগ করেছিলেন কেরালার বিখ্যাত পরিচালক রনজিতের বিরুদ্ধে। রনজিত কেরালা চলচ্চিত্র বোর্ডের সদস্য থাকলেও, এই ঘটনার পর তিনি ইস্তফা দেন। তারপরে এই নিয়ে আলোচনা শুরু করেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। টলিউডের অন্দরে যে এই গল্প কম না সে কথাই তিনি প্রকাশ্যে বলেন।
আর রাইমা এ প্রসঙ্গে বলেন, "আমার মনে হয় মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর আইন নানা খুব দরকার। আর এক্ষুনি দরকার। #Meetoo মুভমেন্ট ভারতেও হয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়েছে কি? ধর্ষণ আটকানোর উপায় একমাত্রই দোষীদের কঠোরতম শাস্তি। মেয়েদের সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা সর্বত্র প্রতিনিয়ত ঘটে, বেশি মি টু করে লাভ নেই!"
পাশাপাশি অভিনেত্রী ও জানান, মেয়েরাই পারে মেয়েদেরকে আগলে। এই সমাজে কোন পুরুষ যদি আইন বানায় তবে সে নারীদের পক্ষে কোনদিন হবে না। কোন রাজনৈতিক নেতা যদি আইনের কথা ভাবেন সেটিও নারীদের পক্ষে যাবে না। তাই একমাত্র মেয়েরাই পারে। অভিনেত্রীর কথায়, "দেশের সর্বত্র এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রত্যেকটি অত্যন্ত ঘৃণ্য। আমার মনে হয়, আইন প্রদানকারী মহিলা একজনকে খুব দরকার। বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রেও দরকার।"