New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/12/raj-chakrabarty-feature.jpg)
২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো। ছবি- ভেঙ্কটেশ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ আড্ডায় অরুণাচলের কথা বলেই চললেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। দেখালেন বাঘের ভিএফএক্সও। চলছে পোস্ট প্রোডাকশন। আর আমরা অপেক্ষায় ২১ ডিসেম্বরের।
২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো। ছবি- ভেঙ্কটেশ
জঙ্গল তাঁকে বরাবরই টানে। তাই এবার জঙ্গলের কর্মকাণ্ড নিয়ে বড়পর্দার গল্প বেঁধে ফেলেছেন তিনি। যেখানে অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে রয়েছে সোশাল মেসেজও। বিয়ের পর প্রথম পরিচালিত ছবি নিয়ে এই ক্রিসমাসেই আসছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
টং লিং না করতে পারার আক্ষেপ মিটল?
অনেকটা মিটল। সত্যি! একটা ছোটদের ছবি করার ইচ্ছে ছিল। লীলা মজুমদারের গল্প টং লিং করবই ভেবেছিলাম। আসলে আমাদের এখানে ছোটদের নিয়ে বড়দের ছবি হয়। এই ক্রিসমাসে 'অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো' আমাদের তরফ থেকে ছোটদের উপহার।
তাহলে কি পরিচালক হিসেবে বৃত্ত সম্পূর্ণ হল?
তা তো হলই। একজন পরিচালক হিসেবে আমি প্রেমের ছবি বানিয়েছি, ফ্যামিলি ড্রামা তৈরি করেছি, অ্যাকশন ড্রামাও বাদ দিইনি। তাহলে ছোটদের জন্য কেন নয়? এখন সেটা বানানোর পর মনে হচ্ছে এবার ঠিক আছে। সমতা বজায় থাকল। দেখুন একজন পরিচালক হিসেবে আমি তো চাইবই সব ধরণের দর্শক আমার ছবি দেখুক।
রাজ চক্রবর্তী কি ছোটবেলায় এরকম ছিলেন?
হ্যাঁ! প্রচুর মার খেয়েছি। অ্যাডভেঞ্চার করতে সবসময় ভালবাসতাম। জঙ্গল আমায় টানে। আরও বেশি এটা নিয়ে জানতে আগ্রহ তৈরি হয়।আমাদের এক দাদা ও দিদি আছেন তাঁরা বাঘ নিয়ে কাজ করেন। ওঁদের সঙ্গে বহুবার সচেতনতা নিয়ে কথা বলছি, বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। ওঁরা খেটে মানুষকে বুঝিয়েছেন কেন জঙ্গলের পশুদের বাঁচানো প্রয়োজন। সেটা তো ছবিটা তৈরিতে সাহায্য করেছে নিশ্চয়ই।
আরও পড়ুন, হল পাচ্ছে না ‘রসগোল্লা’, শাহরুখের কাছে আবেদন উইন্ডোজের
যশোজিৎ, সামিউলকে খোঁজার গল্পটা একটু বলুন...
আমরা দুজন বাচ্চা খুঁজছিলাম- যাদেরকে পুরোপুরি বিপরীত হতে হবে। একজন শহরে বড় হয়েছে তার চোখে মুখে বুদ্ধিমত্তার ছাপ থাকবে যেটা যশোজিৎ। আর একজন ভীষণ সাহসী জঙ্গলের ছেলে। যার গায়ের রঙ তামাটে হবে, পশুদের ভয় পায়না। ওরা না ভীষণ শার্প, ওয়ার্কশপেই পুরোটা করে ফেলতে পেরেছিল। কিন্তু সবথেকে বেশি চিন্তা ছিল পশুদের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটা। হাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করিয়েছি ওদের। আমার 'চিরদিনই...' করার মতো অভিজ্ঞতা হয়েছে।
'অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো'-ই করবে এটা কখন ভাবলেন?
টং লিংয়ের রাইটসটা যখন পেলাম নাম, তখন অনেক ছবির অফার এসেছিল। কিন্তু ছোটদের ছবিই করব বলে জেদ ধরেছিলাম। রিসার্চ করতে করতে অরূপ দত্তর বই পড়ি। উনি অ্যাডভেঞ্চারের ওপরেই লেখেন মূলত। সেখান থেকে পরে আস্তে আস্তে এই গল্পটা তৈরি করি।
ছবিটা তৈরি করতে কতটা ঝক্কি নিতে হল?
আমি মোটামুটি যতগুলো জঙ্গল রয়েছে কাজিরাঙা থেকে শুরু করে সবটা ঘুরে ফেলেছিলাম, সেখানকার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি কেউ শুটিংয়ের অনুমতি দিচ্ছিলেন না। তিনবার অরুণাচলে গিয়েছি এর মধ্যে। খোঁজ পেলাম দিবাং ভ্যালি বলে রোহিংয়ের একটা জায়গায় খুব সুন্দর একটা জঙ্গল রয়েছে শুধু হাতি আনতে হবে। লাইসেন্স রয়েছে এমন একটা হাতি নিয়ে শুটিং হল।
(আড্ডায় অরুণাচলের কথা বলেই চললেন রাজ। দেখালেন বাঘের ভিএফএক্সও। চলছে পোস্ট প্রোডাকশন। আর আমরা অপেক্ষায় ২১ ডিসেম্বরের।)