তিনি রাজ চক্রবর্তী ( Raj Chakraborty ) । তাঁর নতুন কিছু করার শখ। তিনিই নাকি বর্তমান সময়ে স্টার তৈরি করতে পারেন। একথা অস্বীকার করার নয়, কারণ দেব তাঁর প্রথম উদাহরণ। তবে, এই রাজ নিজেকে কিভাবে তৈরি করেছিলেন তাঁর পেছনে রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস।
চাকরি করবেন না, বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন। শখ ছিল, অন্য কিছু করার। কায়দার ঠেলায় অন্ধকার, কিন্তু রাজের শখের অভাব ছিল না। সিনেমা না, বরং থিয়েটার দিয়েই শুরু করেছিলেন। পরিচালক হিসেবে না, বরং শুধু বেচেঁ থাকার জন্য সিনেমা করতে শুরু করেন। এখানেই শেষ না। সকলেই নির্ভর করে ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ এর ওপর। কারণ, একমাত্র তিনিই ছিলেন রোজগেরে। মাত্র ১০০ টাকা পেতেন অভিনেতা ডাবিং করে।
৪০০ টাকা রোজগার কীভাবে শুরু করলেন...?
বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে শুরু করলেন রোজগার করা। রাজ চক্রবর্তী জীবনে অনেক কিছু দেখেছেন। একটা ডাল ভাত ভাগ করে যেমন খেয়েছেন তেমনই হেঁটে হেঁটে নন্দন থেকে টালিগঞ্জ যাতায়াত করেছেন। এক পয়সা বাড়ি থেকে পাননি। রাজের কথায়, "একটা সময় বাড়ি ভাড়া দেওয়া খুব দরকার পড়ল। ৪০০ টাকা দিতেই হবে। তখন আমি রুদ্রকে বললাম একটা কিছু দে যাতে আমি ওই ৪০০ টাকা রোজগার করতে পারি। তখন রুদ্র একটা গল্প লিখছে, যেখানে আমায় একটা হনুমানের চরিত্র দেওয়া হল। ওই আরকি, রিহার্সালের মাঝে হুপ হুপ করতে হত। সেখানে মাসে ৪ দিন ১০০ টাকা করে দেওয়া হত। ব্যস! সেটা করতে গিয়েই আমার জীবন পাল্টে গেল।"
গল্প এখানেই শেষ না। ৪০০ টাকা পাওয়ার আকাঙ্খায় তিনি পরিচালককে অ্যাসিস্ট করতে শুরু করেন। বাড়ি ভাড়া দিতে হবে, এই ভেবেই তাঁদের অবস্থা কাহিল। রাজ বলেন, "আমার চারপাশে যখন এতসব কিছু হতে থাকল আমি ভাবলাম এটা তো পাওয়ার কথা ছিল না। সুতরাং যখন হয়ে গেল তখন এটাকে ধরে রাখতে হবে। আর, আমার নতুন কিছু শেখার খুব দরকার ছিল। কারণ, একটাই ইচ্ছে সবসময়ের। সকলকে ভুল প্রমাণ করতে হবে। আমায় রুদ্র অনেকসময় বলত, এটা কেন করলি। ওটা কেন? আমি ওকে ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম।"
উল্লেখ্য, রাজ চক্রবর্তী কাজ করছেন তার নতুন প্রজেক্ট নিয়ে। বাবলি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। সঙ্গে আবির চট্টোপাধ্যায় - শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সদ্যই আরেকবার বাবা হয়েছেন তিনি। সেকারণেই, উৎফুল্লতা তুঙ্গে। গতবছর, আবার প্রলয় দিয়ে ওয়েব ডেবিউ করেছেন। পেয়েছেন নিদারুণ সাফল্য।