শচীন তেণ্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে একই আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসালেন রাজ চক্রবর্তী। যার জেরে ভয়ঙ্কর বিতর্কে পড়তে হল পরিচালক-বিধায়ককে।
ঠিক কী হয়েছে? তৃণমূলের তরফে শুক্রবার বনগাঁয় বিজয়া দশমীর আয়োজন করা হয়েছিল। খেলাঘর ময়দানে জেলার বিভিন্ন স্তরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জমজমাট ভিড়। সেখানেই বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ চক্রবর্তী। বিজয়া সম্মিলনীর সেই অনুষ্ঠানেই ব্যারাকপুরের বিধায়ক তথা টলিউড পরিচালক-প্রযোজক রাজকে বলতে শোনা যায়, "ঈশ্বর যেমন শচীন তেণ্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন , ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।"
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেটার ও গায়িকার মতোই প্রতিভাবান রাজ চক্রবর্তী সম্ভবত সেটাই বলতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁর এমন মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধীদের বিদ্রুপ তো বটেই পাশাপাশি সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয় রাজকে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, "দলের কোনও নেতা যদি ভুল করে থাকেন, তাহলে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আপনারা কিন্তু ভুল বুঝবেন না।" পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, "দুর্নীতিগ্রস্থদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। দলে এধরণের কোনও মানুষের ঠাঁই হবে না। আগামী ভোটেও টিকিট দেওয়া হবে না।"
<আরও পড়ুন: ‘অনীক দত্ত-র চামচা..’, জিতু কামালকে ভয়ঙ্কর কটাক্ষ! পাল্টা দিলেন অভিনেতা>
বনগাঁ জেলার তৃণমূল সংগঠনের তরফে আরেক সদস্য বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। যে যেভাবে পারছে দলনেত্রীকে খুশি করার চেষ্টা করছে।"
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সংস্কৃতি বিভাগে দায়িত্বে রাজ চক্রবর্তী। একুশের বিধানসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে জিতে তিনি এখন পরিচালক-প্রযোজকের পাশাপাশি বিধায়কও। রাজ্যের শাসকদলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে দেখা যায় তাঁকে। পুজো কার্নিভালের সময়ও বেজায় সক্রিয় ছিলেন।