বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কেবলই নকল ছবি হয়? আর সেই নকল ছবির জন্য পথপ্রদর্শক তিনি নাকি, রাজ চক্রবর্তী! পরিচালক টুকে ছবি করেন, এমন কথাও শোনা গিয়েছে বহুবার। আবার প্রলয়ের পরেও ঠিক এমনই বক্তব্য বেশিরভাগের।
গল্প কিংবা প্লট নিয়ে না! বরং অভিযোগ এবং নকলের নিশানায় ছিল সিরিজে বেশ কিছু তারকার লুক। ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে মিল ছিল পঙ্কজ ত্রিপাঠীর। অন্যদিকে, কৃতি স্যানোনের সঙ্গে মিল ছিল কৌশানীর। রাজ চক্রবর্তীর নামের সঙ্গে জুড়েছে টুকলি অথবা নকলের অভিযোগ। কিন্তু, পরিচালক নিজেকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তাঁর কথায়, তিনি একসময় টুকলি করলেও আজ আর করেন না।
অর্থাৎ? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একসময় যেহেতু রিমেক বানাতাম তাই দর্শক বলেছেন। তাতে অসুবিধা কোথায়? এখন আর বানাই না। আর আমি কোনও ক্রাইম করিনি। সত্ব কিনে আমি ছবি বানাই নি। কারওর কাছে আমি খারাপ, কারওর কাছে আমি ভাল। কারওর কাছে আমি খারাপ। লোকে তো বলবেই। একসময় আমি টুকে কাজ করেছি। এখন তো আর করি না।
আরও পড়ুন - ইউভান না খাচ্ছে না ঘুমাচ্ছে, ‘একটু ক্যালান তো..’, শুভশ্রীকে দুর্ধর্ষ উপায় দিলেন ‘অনিমেষ’ শাশ্বত!
আবার প্রলয়ের ট্রেলারে ঋত্বিককে দেখতেই বেশিরভাগ এমনই বলেছিলেন, যে রাজের স্বভাব গেল না। এবার, গল্প নয় বরং লুক টুকে দিয়েছেন পরিচালক। যদিও এতে বিন্দুমাত্র সহমত নন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে জানিয়েছিলেন, "সকলে যে একটাই কথা বলছে ঋত্বিকের চরিত্রটা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, কেউ তো এটা বলছে না যে ওকে সাই বাবার মতো লাগছে। আমি তো ভেবে পাচ্ছি না কেন এত বিতর্ক!"
উল্লেখ্য, রাজ চক্রবর্তী স্টার মেকার! তিনি স্টার তৈরি করতে পারেন। কিন্তু আবার প্রলয়ের আগে তাঁরই এক স্টার রাহুল বন্দোপাধ্যায়ের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। অভিনেতা বলেছিলেন, যে একদা কপি করে সে ওটা ছাড়া কিছুই পারে না। যদিও, একথায় বিন্দুমাত্র কোনও নেগেটিভ মন্তব্য দেননি পরিচালক।